আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ ইসরায়েলি পুলিশ গতকাল শুক্রবার রাতে দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমের পুরনো শহরে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদের অভ্যন্তরে মুসল্লিদের উপর হামলা করেছে।
ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেছে, হারাম আল শরীফ এলাকার অভ্যন্তরে সংঘর্ষে প্রায় ১৬৯ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি পুলিশ, হারাম আল শরীফের ভিতরে উপাসনারত মুসল্লি এবং প্রাঙ্গণে অবস্থান নেয়া বিক্ষোভকারিদের স্টান গ্রেনেড, রাবার বুলেট ও গ্যাস বোমা ব্যাবহার করে বিক্ষিপ্ত করার চেষ্টা করে, যার ফলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে তরুণ ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলি সেনাদের উপর পাথর আর কাঁচের বোতল নিক্ষেপ করে। আল আকসা মসজিদের সিলসিলা, দামেস্ক ও এস সাহিয়ার গেইট দিয়ে প্রবেশের চেষ্টাকালে ফিলিস্তিনিদের সাথে ইসরায়েলি পুলিশের মুহূর্মূহু সংঘর্ষ হয়, ফলে মসজিদে আগমনকারী নারী, শিশু এবং প্রবেশকারীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
আল জাজিরার সর্বশেষ সংবাদে প্রকাশ যে সংঘর্ষে এখন পর্য্যন্ত ১৫০ জনের অধিক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। ৭০ জনের মত আহত মুসল্লিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিগত সপ্তাহখানেক থেকেই জন্মভূমি থেকে উৎখাত করার ইসরায়েলি পদক্ষেপের কারণে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিলো। গতকাল ছিল রমজান মাসের শেষ শুক্রবার জুম’আতুল বিদা; তাই হাজার হাজার মুসল্লি জুমার নামাজ পড়তে আসেন বিশ্ব মুসলিমের তৃতীয় গুরুত্ত্বপূর্ণ এই মসজিদে। জুমার নামাজের পর ফিলিস্তিনিদের উৎখাতের বিরুদ্ধে বেশ কিছু আন্দোলনকারী জমায়েত করেন মসজিদ প্রাঙ্গণে। এই উত্তেজনার সময়ে ইসরায়েলি পুলিশ মসজিদের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে মুসল্লিদের উপর এবং বহিরাংগনে আন্দোলনরত ফিলিস্তিনিদের উপর স্টান গ্রেনেড, রাবার বুলেট, পানি ও গ্যাস বোমা দিয়ে আক্রমণ করে ফলে ১৫০ জনের মত ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
আল আকসা মসজিদের পরিচালক মসজিদের লাউড স্পিকার থেকে বারে বারে ইসরায়েলি পুলিশকে আক্রমণ বন্ধ করে মসজিদ প্রাঙ্গণ ত্যাগ করার আহবান দিতে শোনা যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্য্যন্ত বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ চলছিলো।
আল-আকসা মসজিদ বিশ্ব মুসলিমের জন্য তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধের সময় ইসরায়েল পূর্ব জেরুসালেম দখল করে নেয়, যেখানে আল-আকসা অবস্থিত। ১৯৮০ সালে বিশ্ব মতামত উপেক্ষা করে ইসরায়েল সমগ্র জেরুজালেমকে তাদের অন্তর্গত করে ফেলে।