আইরিশ বাংলাপোষ্ট অনলাইন ডেস্কঃ ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় প্রথম গোলের পর উচ্ছ্বসিত, রোমাঞ্চিত হামজা। লেস্টার সিটির একাডেমীতে বেড়ে ওঠা এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বলেন, ‘সত্যি অসাধারণ অনুভূতি (হাসি)। ইউরোপের মঞ্চে প্রথম গোল, এটা স্পেশাল মাইলফলক। আমার এবং পরিবারের জন্য এটা গর্বের মুহূর্ত। দূরের পোস্টে দাঁড়িয়ে থেকেও যে গোল পেয়েছি এটা সৌভাগ্যের। এই পজিশন থেকে গোলের সুযোগ কমই পাওয়া যায়।’
পেশাদার ক্যারিয়ারের প্রথম গোলটা পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছিল ৩৬ ম্যাচ। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত লেস্টার সিটির ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী প্রথম গোলের স্বাদ পেয়েছেন গত জানুয়ারিতে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে গোলের খাতা খুলেছেন তিনি।
তবে ইউরোপের মঞ্চে গোলের খাতা খুলতে এত অপেক্ষা করতে হয়নি। ৬০ মিনিট খেলেই পেয়েছেন ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার প্রথম গোল। গত ২৩শে অক্টোবর ইউরোপা লীগের গ্রুপ পর্বে এফসি জরেয়া লুহানস্ক-এর বিপক্ষে অভিষেক। সেদিন নেমেছিলেন বদলি হিসেবে, ৭১ মিনিটে। বৃহস্পতিবার রাতে এইকে এথেন্সের বিপক্ষে হামজাকে একাদশে রাখেন লেস্টার কোচ ব্রেন্ডন রজার্স।
৩৯ মিনিটে ডিবক্সের মধ্যে দারুণ এক ভলিতে ইউরোপের মঞ্চে গোলের খাতা খোলেন ২৩ বছর বয়সী এই তারকা।
বৃহস্পতিবার এথেন্সের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ১৮তম মিনিটে সফল স্পটকিক থেকে লেস্টারকে লিড এনে দেন জেমি ভার্ডি। ৩৯তম মিনিটে কর্ণার থেকে বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ স্বাগতিক ডিফেন্ডাররা। ফাঁকায় দাঁড়ানো হামজা চৌধুরী ডান পায়ের ভলিতে ঠিকানা খুঁজে নেন।
৪৯ মিনিটে তানকোভিচ এক গোল শোধ দিলেও লিড ধরে রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লেস্টার। টানা দুই ম্যাচ জিতে ‘জি’ গ্রুপে ৬ পয়েন্ট লেস্টার সিটি ও এসসি ব্রাগার। গোল পার্থক্যে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে লেস্টার।
হামজার জন্ম ইংল্যান্ডে। তবে বাংলাদেশে যাতায়াত ছিল নিয়মিতই। হবিগঞ্জের বাহুবল থানার স্নানঘাট গ্রামে তার শেকড় গাঁথা। ছয় মাস বয়স থেকে পরিবারের সঙ্গে বাংলাদেশে যাতায়াত। সর্বশেষ বাংলাদেশে এসেছিলেন পাঁচ বছর আগে। ২১তম বারের মতো এই বছর বাংলাদেশে আসার কথা থাকলেও করোনা মহামারির প্রকোপে সেটা হচ্ছে না।
ইংলিশ ফুটবলে সম্ভাবনাময় তরুণদের একজন ভাবা হয় হামজাকে। ইংল্যান্ডের জার্সিতে খেলেছেন অনূর্ধ্ব– ২১ ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ। অনূর্ধ্ব-২১ দলে খেলা মানে মূল জাতীয় দল থেকে এক পা দূরে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি।
হামজার স্বপ্ন ইংল্যান্ড জাতীয় দলে খেলা। তবে লাল-সবুজ জার্সিতে খেলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি তিনি। গত মে মাসে এক সাক্ষাতকারে হামজা বলেন, ‘আমি ইংল্যান্ড জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন দেখি। আরো দুইবছর চেষ্টা করবো ইংল্যান্ড জাতীয় দলের জন্য। এরপর বাংলাদেশের হয়ে খেলার কথা ভাববো।’