বুলবুল বিশ্বাস ও বকুল বিশ্বাস দম্পতির শারীরিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বরিশাল নগরীর দক্ষিণ আলেকান্দা রিফিউজি কলোনির একটি বাসা থেকে পালিয়ে পুলিশের কাছে আশ্রয় নিয়েছে আশা (১৩) নামে এক শিশু গৃহকর্মী। ওই দম্পতির দাপটের কাছে অসহায় আশার পরিবার মামলা দায়ের করতে রাজী না হওয়ায় বুধবার দুপুরে (১২ আগস্ট) অভিযুক্ত বুলবুল বিশ্বাস ও বকুল বিশ্বাস দম্পতির বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই আল-আমিন বাদী হয়ে মামলা করে।
আশা নগরীর ব্যাপ্টিস্ট মিশন রোডের ডেভিড বিশ্বাসের মেয়ে। বর্তমানে আশা পুলিশ ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার রয়েছে।
অভিযুক্ত দম্পতি রিফিউজি কলোনির বাসিন্দা দম্পত্তি বুলবুল বিশ্বাস ও বকুল বিশ্বাস। ঘটনার পরপরই অভিযুক্তরা বাসা ছেড়ে পালিয়েছেন।
আশা জানায়, ওই বাসায় তার বাবা তাকে কাজে দেয়। কাজে কোন ভুল-ত্রুটি হলেই মারধর করতো। প্রতিদিন ওই দম্পতির হাতে মার খেতে হতো। মঙ্গলবারও আশাকে মারধর এবং খুন্তির ছ্যাঁকা দেয়। তাদের হাত থেকে বাঁচতে সে রাতে ওই বাসা থেকে পালিয়ে অন্য একটি বাসায় যায়। তারা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ তাকে নিয়ে চিকিৎসা করায়।
আশা আরও জানায়, প্রতিদিন যা রান্না হতো তা দেওয়া হতো না। খাবার চাইলে তাকে পচা ও বাসি খাবার দেওয়া হতো। আশার বাবা জানান, দারিদ্রতার কারণে দুই বছর পূর্বে ওই বাসায় কাজে দেন মেয়েকে। ছোট আশাকে সন্তানের মত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন তারা।
‘আমার মেয়ের উপর মারধরের কথা শুনে একাধিকবার আনতে গেলে বুলবুল বিশ্বাস আমাকে ফিরিয়ে দেয়। তাদের হুমকির কাছে আমি অসহায় হয়ে খালি হাতে ফিরে আসি। আমার মেয়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পরে মঙ্গলবার রাতে ওই এলাকার এক বাসায় আশ্রয় নিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।’
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম জানান, পুলিশের অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে আগেই বাসা থেকে পালিয়েছেন অভিযুক্ত দম্পতি। নির্যাতনকারী বুলবুলের প্রভাবে মামলা করতে ডেভিড বিশ্বাস ভয় পাওয়ায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।