জাফর আহম – আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ ভৌগলিক অবস্হানের দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বঙ্গপসাগরের তীরবর্তী অবস্হিত একটি সম্ভাভনাময় দ্বীপের নাম কুতুবদিয়া। কক্সবাজার জেলার এই দ্বীপটি মাছের জন্য বিখ্যাত। ট্রলার দিয়ে প্রতি বছর মাছ শিকার করে হাজার, হাজার মাঝিমাল্লা এবং রাষ্টের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করে। শুধু তাই নয় এই দ্বীপের অধিকাংশ স্হান লবন চাষের জন্য। অত্যন্ত উপযুক্ত হওয়ার কারনে সমুদ্রের লোনা পানি ঢুকিয়ে প্রতি বছর হাজার, হাজার টন লবন উৎপাদন করে চাষীরা এবং দেশের লবনের চাহিদা পুরনে সহায়তা করে। আর শিক্ষার বিষয়টা বলার অপেক্ষা রাখেনা। শিক্ষার হার কক্সবাজার জেলার মধ্যে কুতুবদিয়ায় ৯৮%। কিন্তু এসব কিছুর পরও আজ অবেহেলিত, কক্সবাজার জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি অবেহেলিত এলাকা কুতুবদিয়া।
ঘূর্ণিঝড় আম্ফান কক্সবাজারে বড় ধরনের তেমন আঘাত না হানলেও দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া ও মহেশখালীর বিভিন্ন এলাকায় সমুদ্র তীরবর্তী বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। আম্ফানের সাথে যোগ হয়েছে অমাবস্যার জোয়ারের প্রভাবও। এতে দুই উপজেলার সমুদ্র তীরের বেড়িবাঁধও বিভিন্নস্থানে ভেঙে সাগরবক্ষে তলিয়ে যায়। এই অবস্থায় জোয়ারের প্রভাব অব্যাহত থাকায় বিভিন্ন লোকালয়েও ঢুকে পড়েছে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি। আম্ফানের প্রভাবে গতকাল সারাদিন দমকা হাওয়ার সাথে থেমে থেমে মাঝারি আকারের বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে কঙবাজারে।
এদিকে জেলা প্রশাসন ৮ উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি থেকে জেলাবাসীকে রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ আগে থেকে গ্রহণ করে রাখে। এমনকি উপকূলীয় উপজেলাগুলোর কয়েক লাখ লোককে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রেও নিয়ে আসা হয়েছিল।
ঘূর্ণিঝড় আম্ফান দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় ঘরবাড়ির তেমন ক্ষতি না করলেও বড় ধরনের আঘাত হেনেছে দ্বীপের রক্ষাকবচ বেড়িবাঁধে। ভয়াবহ জ্বলোচ্ছ্বাসের তোড়ে কুতুবদিয়া উপজেলার ধুরুং ইউনিয়নের কাইছার পাড়া ও নয়াপাড়া বেড়িবাঁধের বিশাল অংশ সাগরবক্ষে তলিয়ে গেছে। বর্তমানে দ্বীপের ৭১ নম্বর পোল্ডারের ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে অন্তত ১০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। এতে দ্বীপের কয়েকটি এলাকায় জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে। জরুরি ভিত্তিতে এই ভাঙা অংশ মেরামতের প্রয়োজন রয়েছে। অপরদিকে আরেক দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর ৭০ নম্বর পোল্ডারের ৩২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে মাতারবাড়ি ও ধলঘাট ইউনিয়নের কিছু অংশের বেড়িবাঁধ সাগরে তলিয়ে গেছে।
এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এসও) শাহ আরমান সালমান জানান, মহেশখালীর ধলঘাট ইউনিয়নের উমখালী বেড়িবাঁধের ৩৫০ মিটার, সরইতলা বেড়িবাঁধের ২৫০ মিটার এবং মাতারবাড়ি ইউনিয়নের ষাইটপাড়া বেড়িবাঁধের প্রায় ৭০০ মিটার মতো সামুদ্রিক অস্বাভাবিক ঢেউয়ের তোড়ে সাগরে বিলিন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে জরুরি ভিত্তিতে মেরামতের জন্য ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা হবে। দ্বীপের চারপাশে টেকসই বেড়িঁবাধ না থাকায় সমুদ্রে গর্ভে বিলীন হতে চলেছে এই দ্বীপটি। হাজার,হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে এবং বাড়ীঘর ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
কুতুবদিয়া ও মহেশখালীর জনগনের দাবী বাঁচার মত বাছতে চাই। একটি স্হায়ী বেড়িঁবাধের জন্য সরকারের কাছে সূ-দৃষ্টি কামনা করছে এলাকার লাখো জনগনের।