আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি জুতার তৈরির কারখানায় আগুন লেগেছে। শনিবার (১০ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়।
উপজেলার উলুসাড়া এলাকার ওই কারখানায় শনিবার বিকেলে এই আগুনের সূত্রপাত। আগুন নেভাতে গিয়ে কমপজেক্ষ পাঁচ শ্রমিক আহত হয়েছেন।
গাজীপুর, কালিয়াকৈর, সাভার ইপিজেড, কাশিমপুর ডিবিএল ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট আগুন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। তবে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি।
শ্রমিকরা জানিয়েছেন, আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হওয়া ব্যক্তিদের স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস, শ্রমিক ও স্থানীয়রা জানান, বিকেলে সোয়া পাঁচটার দিকে কারখানার ভেতরে জুতার গোডাউনে টিন শেডের পাশে থাকা একটি বৈদ্যুতিক মিটার বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এসময় কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
এক পর্যায়ে ওই জুতার কারখানায় কর্মরত শ্রমিকরা আতংতি হয়ে কয়েকটি তলা থেকে তাড়াহুড়ো করে নেমে বেরিয়ে যান। ওই সময় কারখানার নিরাপত্তা কর্মীরা কারখানার পূর্বপাশে টিন শেড দিয়ে তৈরি জুতার কাঁচামাল রাখা গোডাউনে আগুন দেখতে পান। শ্রমিক ও নিরাপত্তাকর্মীরা নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের খবর দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে গাজীপুর, কালিয়াকৈর,সাভার ইপিজেড, কাশিমপুর ডিবিএল ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে।
ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট সাড়ে তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়। ফলে অগ্নিকাণ্ডে কারখানার টিনশেড গোডাউনে রাখা শত শত টাকার চামড়া, ক্যামিকেলসহ নানা রকমের মালামাল পুড়তে দেখা যায়।
আগুনের শিখা আকাশের অনেক উঁচুতে উঠে যাওয়াতে কারখানা ঘেঁষে গড়ে উঠা অনেক বাড়িওয়ালা আগুন আতংকে ঘরের মালামাল বের করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান।
আগুনের খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ, ডিএসপি, ডিবি, শিল্পপুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে নিরাপত্তা দিতে থাকে।
স্থানীয় গ্রামবাসী অহিদুল ইসলাম, জহির, শিপন বলেন, বিকেলের দিকে একটা বিকট শব্দ শুনতে পাই। কিছুক্ষণ পরে ওই জুতা তৈরির কারখানার জুতার কাঁচা মালামাল রাখার গোডাউন থেকে কালো ধোয়া বের হতে দেখি। এসময় এলাকায় আগুন আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে জুতা তৈরির কারখানা কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হয়নি।
কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের ষ্টেশন কর্মকর্তা কবির আলম জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট কাজ করছে। আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা সম্ভব হচ্ছে না।
কালিয়াকৈর থানার এসআই আনিসুর রহমান বলেন, আমরা আগুন নেভানো পর্যন্ত নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছি। যাতে কারখানার বাইরের লোক এসে কোনওরকম লুটপাট করতে না পারে।