আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ গত বুধবার রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ ঋণ চুক্তি সই হয়। জাপান সরকারের পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি ও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতেমা ইয়াসমিন ঋণ চুক্তিতে সই করেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ প্রায় ২৫ হাজার ৫১৭ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে)। দশ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ এই ঋণের সুদ দিতে হবে মাত্র শূন্য দশমিক ৬৫ শতাংশ, এ বিষয়ে ইআরডি সচিব বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপান প্রতিনিয়তই বিনিয়োগ করছে। করোনাকালীন সময়েও জাপান সরকার বাংলাদেশকে ঋণ দেওয়া থেকে সরে যায়নি। আমি আশা করছি জাপানের এ অর্থ ছাড় হলে দেশের মেগা প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত হবে, তিনি বলেন, অন্যান্য ঋণের চেয়ে এবারের ঋণ চুক্তিটি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একসাথে সাতটি মেগা প্রকল্পে ঋণ চুক্তি হলো। তাছাড়া ঋণের পরিমাণও বেশি। কম সুদে এ ঋণ দিয়ে জাপান আবারও বন্ধুত্বের পরিচয় দিল, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, কম সুদের এ ঋণে প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন আরও বেগবান হবে। কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পাশাপাশি শুরু হওয়া প্রকল্পে কাজের গতি বাড়াতে হবে, সাতটি প্রকল্প হলো- যমুনা রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্প, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বর্ধিত প্রকল্প, ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট উন্নয়ন প্রকল্প, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হাইওয়ে প্রকল্প, ফুড ভ্যালু চেইন উন্নয়ন প্রকল্প এবং নগর উন্নয়ন ও শহর সুশাসন প্রকল্প।