![](https://irishbanglapost.com/wp-content/uploads/2020/08/turki-gas-1024x618.jpg)
আইরিশ বাংলাপোষ্ট অনলাইন ডেস্কঃনিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গ্যাস ক্ষেত্রের সন্ধান পেয়েছে তুরস্ক। এতে অন্তত ৩২০ বিলিয়ন কিউবিক মিটার গ্যাস মজুত রয়েছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (২১ আগস্ট) তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ইস্তানবুলে এক সংবাদ সম্মেলনে গ্যাস ক্ষেত্রটি পাওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেন।
কৃষ্ণ সাগরে পাওয়া এই গ্যাসক্ষেত্র থেকে উত্তোলিত গ্যাস ২০২৩ সাল নাগাদ ব্যবহার শুরু করবে তুরস্ক। তুরস্কের উপকূল থেকে ১০০ নটিক্যাল মাইল দূরে অন্তত এক মাস ধরে অনুসন্ধান চালানোর পর গ্যাস ক্ষেত্রটির সন্ধান পাওয়া যায়।
নবমতম বার ওই এলাকায় খনন কাজ চালানোর পর গ্যাস ক্ষেত্রটির সন্ধ্যান পায় অনুসন্ধানী দল।
এর আগে বুধবার (১৯ আগস্ট) রাজধানী আঙ্কারায় একটি সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় পূর্ব ভূমধ্যসাগরে বিতর্কিত এলাকায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন এরদোগান।
এরদোগান বলেন, তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ইস্যুতে আমরা শতভাগ সঠিক অবস্থানে আছি। যদি আমরা জলদস্যুদের কাছে আত্মসমর্পণ করি তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আমরা মুখ দেখাতে পারব না। আমরা এমন কোনো দেশ আমাদের শিশুদের কাছে দিতে পারি না যেখানে তারা নিজেদের অধিকার রক্ষা করতে পারবে না, যেখানে তাদের আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি থাকবে।
এরদোগান বলেন, আমরা উপনিবেশবাদীদের বক্তৃতা শুনতে চাই না বরং আমরা শেষ পর্যন্ত আমাদের অধিকার রক্ষার লড়াই করব। উপনিবেশবাদী বলতে তিনি দৃশ্যত ফ্রান্সকে বুঝিয়েছেন।
উল্লেখ্য পূর্ব ভূমধ্যসাগরে এলাকায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান এবং উপকূলীয় এলাকা নিয়ে গ্রিস এবং সাইপ্রাসের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে তুরস্ক। এ অবস্থায় গ্রিস ও সাইপ্রাসের পক্ষে প্রকাশ্য অবস্থান নিয়েছে ফ্রান্স। শুধু তাই নয়, ওই এলাকায় তুরস্ককে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান না করার আহ্বান জানিয়েছে ফ্রান্স এবং ভূমধ্যসাগরে সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে দেশটি।