আইরিশ বাংলাপোষ্ট অনলাইন ডেস্কঃকরোনা ভাইরাসের সময়টাতে এবং বন্যায় ত্রাণ ও পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে যতটুকু সম্ভব দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। দলের স্থায়ী কমিটির নেতারা ঈদুল আজহার দিন শনিবার (১ আগস্ট) রাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে এ আহ্বান জানান তিনি।
সাক্ষাৎ শেষে বের হয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। রাজধানীর গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসা ‘ফিরোজায়’ রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এই সাক্ষাৎ হয়।
সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং নিজেদের সুখ-দুঃখের কথা বলেছেন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, করোনা ভাইরাসের সময়টাতে এবং বন্যায় ত্রাণ ও পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে যতটুকু সম্ভব দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে নেতা কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন খালেদা জিয়া। এ ছাড়া দল যাতে সঠিক ভাবে চলতে পারে—সে জন্য দলের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে বলেছেন তিনি।’
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ম্যাডাম এত অসুস্থ যে নিজে বাসার নিচে নামতে পারেন না, হাঁটতেও পারেন না। তার এখনো খাওয়া-দাওয়ায়ও সমস্যা হচ্ছে বিভিন্নভাবে। আসলে ম্যাডামের উন্নত চিকিৎসা যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে না। এখন যে পরিস্থিতি চলছে হাসপাতালেও যাওয়া যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে তার শারীরিক অবস্থাটা ভালো না।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলাপের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা কথা বলেছি, ঈদের দিনে যেসব কথা বলা হয়। এত দিন ধরে আমরা এক সাথে কাজ করছি, সকলের সুখে-দুঃখের কথা-বার্তা আছে। আমাদের দলেরই অনেকে নিবেদিত প্রাণ নেতা-কর্মী তারা করোনাতে মারা গেছেন, তাদের সম্পর্কে কথা হয়েছে, তাদের পরিবার পরিজনদের নিয়ে কথা হয়েছে। এর মধ্যে অনেকের ছেলে-মেয়ের বিয়ে হয়েছে, অনেকে চলে গেছেন। সবকিছু মিলিয়ে বলা যেতে পারে সুখ-দুঃখের আলাপ হয়েছে।’
খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতে মির্জা ফখরুল ছাড়াও ছিলেন-স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
জিয়া এতিমখানা ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে কারাবন্দি হন। পুরান ঢাকায় পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে একমাত্র বন্দি হিসেবে ছিলেন তিনি। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়ায় খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এরমধ্যে দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ দেখা দিলে সরকারের নির্বাহী আদেশে ছয় মাসের জন্য সাজা স্থগিত করে গত ২৫ মার্চ তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর থেকে গুলশানের ওই সায় আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।