বাংলাদেশ থেকে আয়ারল্যান্ড আসলে হোটেল কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক নয়।

ওবায়দুর রহমান রুহেল,আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ বাধ্যতামূলক হোটেল কোয়ারেন্টাইন যেমনি ব্যয়বহুল ঠিক তেমনি এক দুঃসহনীয় অভিজ্ঞতা।অন্তত আয়ারল্যান্ডে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য এক মূর্তমান আতংকের নাম হোটেল কোয়ারেন্টাইন। গতবছর ডাবলিন এয়ারপোর্টে বাংলাদেশী কমিউনিটির অনেকে দেশ থেকে ফেরার পর স্বাস্থ্যসেবা কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক স্বেচ্ছায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন নামক কারাগার বেছে নিয়েছিলেন । সেই দুঃসহ স্মৃতি এখনো ফিকে হয়ে যায়নি বরং ফেইসবুকের টাইম লাইনে কোয়ারেন্টাইন অভিজ্ঞতার স্টেট্যাস এখনো ঘুরপাক খাচ্ছে।কোয়ারেন্টাইন আইনের মার প্যাচে পড়ে স্বদেশে পাড়ি দেয়ার সুপ্ত বাসনা অনেক বাংলাদেশীর মনে অংকুরে বিনষ্ট হয়েছে অতিরিক্ত জড়িমানার টাকা আর বন্দীদশায় থেকে শাস্তি ভোগ করার ভয়ে।তবে বাংলাদেশী কমিউনিটির জন্য স্বস্তির বার্তা হলো আইরিশ সরকার বাধ্যতামূলক হোটেল কোয়ারেন্টাইনের কালো তালিকা থেকে বাংলাদেশের নাম প্রত্যাহার করেছে। বাংলাদেশসহ ২৩ টি দেশ এই তালিকা থেকে অব্যাহতি পেয়েছে, দেশগুলো হল যথাক্রমে রাশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত,বাংলাদেশ, বোতসোয়ানা, কিউবা,ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কংগো,ইশয়াতিনি, ফিজি জর্জিয়া, কাজাকিস্তান, মালয়েশিয়া, মোজাম্বিক, মিয়ানমার, নামিবিয়া, পাকিস্তান, প্যারাগুয়ে, সুরিনামে, ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাকো, তিউনিসিয়া, উগান্ডা, উরাগুয়ে এবং জিম্বাবুয়ে।

সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে 'ঠাঁই নেই' দশা

গতকাল শুক্রবার মিনিস্টার অব হেলথ মিস্টার স্টিফেন ডনেলী এক অনুস্টানিক বিবৃতিতে এসব দেশগুলোকে ভ্রমণের জন্য নিরাপদ আখ্যায়িত করেন তবে একমাত্র দেশ হিসেবে একুয়াডোরের নাম এই কালো তালিকায় সংযুক্ত হয়েছে। অর্থাৎ একুয়াডোর থেকে কেউ আয়ারল্যান্ডে ভ্রমণ করলে বাধ্যতামূলক হোটেল কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

গতকাল আয়ারল্যান্ডে ১৮৭৫ জন করোনা আক্রান্ত নতুন রোগী সনাক্ত হয়েছে। বর্তমানে কভিড-১৯ উপসর্গ নিয়ে মোট ৩২৬ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন তাদের মধ্যে ৫৯ জন রোগীকে আশংকাজনক অবস্থায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রেখে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবা কর্তৃপক্ষ ও সরকারের মন্ত্রীসভার সমন্বয়ক কমিটি দেশের সার্বিক করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে কভিড -১৯ সংক্রান্ত স্বাস্থবিধি শিথিল করতে সম্মত হয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা বাচ্চাদের খ্রিস্টানিং, হলি কমিউনিয়ন ও কনফার্মেশনে আরো অধিক পরিমাণে লোকসমাগমের পক্ষে সম্মতি দিয়েছেন এছাড়া ইলেকট্রনিক পিকনিক, লাইভ কনসার্ট,থিয়েটার পুনরায় চালু করতে ও অধিক লোক সমাগমের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

SHARE THIS ARTICLE