বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় মৌসুমী ফল উৎপাদনে

আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মো. মেহেদী মাসুদ বলেন, কাঁঠাল উৎপাদনে বিশ্বে ২য়, আমে ৭ম, পেয়ারায় ৮ম এবং মৌসুমী ফল উৎপাদনে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান ১০ম। দেশে এখন ৭২ প্রজাতির ফলের চাষ হচ্ছে। গত ৪ থেকে ৫ বছরের মধ্যে নতুন ফল ড্রাগন, এভোকাডো এবং দেশি ফল বাতাবি লেবু, তরমুজ, লটকন, আমড়া ও আমলকির মতো পুষ্টিকর ফলের উৎপাদন ব্যাপক হারে বাড়ছে। ড্রাগন ফলের ২৩টি আলাদা প্রজাতি, খেজুরের ১৬টি, নারিকেলের ২টি, কাঁঠালের ৩টি জাত সম্প্রসারণ কাজ চলছে। অল্প জমিতে বেশি ফল উৎপাদনের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। রঙ, গন্ধ স্বাদ ও পুষ্টি বিবেচনায় দেশি ফলগুলো খুবই অর্থবহ ও বৈচিত্র্যময়।

অত্যাবশীয় ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের উৎস হলো দেশীয় ফল। ফল খেলে রোগ প্রতিরোধ ছাড়াও হজম, পরিপাক, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ক্যান্সার প্রতিরোধী উপাদন অ্যান্থোসায়ানিন, লাইকোপেন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকায় মরণব্যাধি থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে। অর্থনীতিতে ফলের অবদান অনস্বীকার্য। দেশে যে সব ফল উৎপাদন হয় তার প্রায় ৬০ ভাগ উৎপাদিত হয় জুন-জুলাই ও আগস্ট মাসে। শীতকালে ফল পাওয়ার সুযোগ কম। কুল, কলা, পেঁপে ও তেঁতুলসহ যেসব ফল উৎপাদনে সুবিধা আছে সেদিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

SHARE THIS ARTICLE