আইরিশ বাংলাপোস্ট ডেস্কঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করলেন জোসেফ রোবিনেট বাইডেন জুনিয়র। ওয়াশিংটন ডি সি তে অনন্যসাধারণ নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে অনুষ্ঠিত এই জাতীয় অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন, সিনেটর এমি ক্লুবুচার। দুই সপ্তাহ আগে ক্যাপিটল হিলে সন্তাস এবং কোভীড মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে ইতিহাসে এই অভিষেক অনুষ্ঠান অনন্যসাধারণ হয়ে থাকবে। পঁচিশ হাজার নিরাপত্তা রক্ষী এই অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলেই মুখোশ পরা ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তৃতা করেন এমি ক্লুবুচার, এর পর কথা বলেন ফাদার জেরেমিয়া ও’ডোনোভান।
যন্ত্রের ভাষায় জাতীয় সংগীত এবং লেডী গা গা’র কণ্ঠে জাতীয় সংগীতে শোনা যায়, “বলুন ভোরের প্রথম আলোতে দেখতে পাচ্ছেন, এত গর্বের সাথে আমরা গোধূলির শেষ দ্যুতি দেখেছি কি? ——————-ওহ, বলুন যে কি তারার-দাগযুক্ত ব্যানারটি এখনও তরঙ্গ করে, ও’র ফ্রি জমি আর সাহসের বাড়ি?”
এর পর পাঠ করা হয় আনুগত্যের অঙ্গীকার। যুক্তরাষ্ট্র সময় ১১:৪৫ মিনিটে জাস্টিস সোনিয়া সোডিমায়া শপথ পাঠ করান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে। কমলা নীল পোশাকে হাস্যোজ্জ্বল ছিলেন। তিনি কয়েকটি ইতিহাস গড়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট হলেন। প্রথমত তিনি প্রথম মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট অভিষিক্ত হলেন, এছাড়া তিনি একজন আফ্রিকান-ভারতীয়-আমেরিকান।
এরপর সংগীত পরিবেশন করেন, জেনিফার লোপেজ এবং তারপরই শপথ নেন, জোসেফ বাইডেন। ১১:৪৮ মিনিটে তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান যুক্তরাষ্ট্রের চিফ জাস্টিস জন রবার্টস।
শপথ বাক্য পাঠ করে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে তার দেয়া প্রথম ভাষণে তিনি বলেন, “আমি সর্বদাই আপনাদের সাথে থাকবো, সর্বদাই গণতন্ত্র এবং সংবিধান রক্ষায় সচেষ্ট থাকবো।” তিনি আরো বলেন, “জনগণের ইচ্ছা প্রতিফলিত হয়েছে এবং জনগণের ইচ্ছা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।” তিনি সকল আমেরিকাবাসীর জন্য প্রেসিডেন্ট হওয়ার সংকল্প ব্যাক্ত করে ঐক্যের কথা বলেন। তিনি বলেন, এই সময়, “আমাদের জন্য সংকটের এবং চ্যালেঞ্জের।” জো বাইডেন আরো বলেন, “একসাথে আমরা একটি আমেরিকান আশার গল্প লিখব; ভয়ের নয়, বিভক্তির নয়, ঐক্যের; অন্ধকারের নয়, আলোর; শালীনতা এবং মর্যাদার গল্প, ভালবাসা এবং নিরাময়ের গল্প, মহানুভবতা এবং মঙ্গলের গল্প। এমন একটি গল্প যা আমাদের অনুপ্রেরণা জাগাবে এবং যে কাহিনী যুগে যুগে আসে এবং এখনো আসার অপেক্ষায়।”
তার বক্তব্যের মাঝামাঝি সময়ে, বাইডেন গত মার্চ থেকে কোভিড মহামারীতে মারা যাওয়া চল্লিশ লক্ষ আমেরিকানকে সম্মান জানাতে সবাইকে নীরব প্রার্থনায় অংশ নিতে আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে এরপর, স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করে শোনান তরুণ আফ্রিকান আমেরিকান কবি আমান্ডা গোমেজ
তার কবিতায়।
“আমরা দেখেছি একটি পরাশক্তি
যা আমাদের ডেকেছে বিভক্তি,
গণতন্ত্রকে বিলম্বিত করে ডেকে আনত ধ্বংস
ব্যার্থতার প্রান্ত থেকে ফিরে এসেছে জাতি
গণতন্ত্রকে বিলম্বিত হয় কিন্তু চিরতরে পরাজিত হয়না
সর্বদাই হয় বিজয়ী।।
পরিশেষে, প্রার্থনা পরিচালনা করেন সেলভিস্টার ব্রিন।