আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর তালেবান কর্তৃপক্ষ শাসিত কাবুল শহরে বিমানবন্দরের কাজে ফিরেছেন নারী কর্মীরা। কাজে ফিরে আসা নারীদের মধ্যে রাবিয়া জামাল অন্যতম। যদিও যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানে নারীদের এখনই কাজে ফেরা সহজ ও নিরাপদ কোনো বিষয় নয়, তবুও তারা কাবুল বিমানবন্দরের কাজে ফিরে এসেছেন।
তালেবান কর্তৃপক্ষ আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর বলেছিল, যত দিন না যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক হয়, তত দিন পর্যন্ত নারীরা যেন ঘরে অবস্থান করেন। কারণ, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে নারীদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্যই এখন ঘরে থাকা আবশ্যক হয়ে গেছে।
কিন্তু, তিন বাচ্চার মা রাবিয়া জামালের (৩৫) জন্য অন্য আয়ের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। এ বিষয়ে রাবেয়ার বক্তব্য, ‘আমার পরিবারকে সমর্থন দেয়ার জন্য আমার অর্থের দরকার।’
এ কারণে তিনি নেভি ব্লু রঙের স্যুট পরে তৈরি হয়ে কাবুল বিমানবন্দরের কাজে ফিরে আসেন। এ বিষয়ে তিনি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ঘরের মধ্যে (অর্থিক সমস্যা নিয়ে) আমি খুবই দুশ্চিন্তায় ছিলাম। এখন (কাবুল বিমানবন্দরের কাজে ফিরতে পেরে) আমার খুব ভালো লাগছে।
আগে কাবুল বিমানবন্দরে ৮০ নারী কাজ করতেন। এখন পশ্চিমা বাহিনীর সাথে বিদেশে চলে যাওয়া ও নিরাপত্তা সমস্যাসহ বিভিন্ন কারণে কাবুল বিমানবন্দরে মাত্র ১২ নারী কাজে ফিরেছেন। তারা কাজে ফিরে এলে তাদেরকে কোনো বাধা দেয়নি তালেবান কর্তৃপক্ষ।
ওই নারীরা এখন কাবুল বিমানবন্দরেই কাজ করছেন। এদের মধ্যে ছয় নারীকে দেখা গেছে ওই বিমানবন্দরে প্রধান প্রবেশ পথে দাঁড়িয়ে আছেন। তারা গল্প করছিলেন এবং হাসছিলেন। তারা মূলত ডমিস্টিক ফ্লাইটে যাওয়া নারীদের দেহ তল্লাশি ও স্ক্যান করার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
রাবিয়া জামালের বোন কুদসিয়া জামাল (৪৯) বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, তালেবানের ক্ষমতা গ্রহণের সময় তার বোন খুব শঙ্কিত ছিলেন।
তিনি আরো বলেন, আমিও খুব শঙ্কিত ছিলাম। কারণ, আমার পাঁচ সন্তান আছে। আর আমিই পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী।
কুদসিয়া জামাল বলেন, আমার পরিবারের সদস্যরা আমাকে নিয়ে খুবই শঙ্কিত ছিল। তারা আমাকে কাজ করতে নিষেধ করেছিল। কিন্তু এখন আমি খুশি। কারণ, এখন আমার কোনো সমস্যা নেই।
সূত্র : আরব নিউজ