আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে এখনো সিসিইউতে রাখা হয়েছে। শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা চলছে।
বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির গতকাল বণিক বার্তাকে বলেন, আমাদের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সর্বশেষ যে তথ্য দিয়েছেন বা জানিয়েছেন তার বাইরে কিছুই নেই। নতুন কোনো বিষয় গণমাধ্যমকে জানানোর থাকলে সঙ্গে সঙ্গেই জানানো হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগের মতোই সিসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর আগে গতকাল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বণিক বার্তাকে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়া এখনো ভেরি ক্রিটিক্যাল স্টেজে আছেন, চিকিৎসকরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন। আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য এখনই তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিভিন্ন গুজব ছড়ানো হচ্ছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এসব গুজবের কোনো ভিত্তি নেই। একটি মহল অসৎ উদ্দেশ্যে গুজব ছড়াচ্ছে। তিনি এগুলোয় বিশ্বাস না করতেও দেশের মানুষের প্রতি অনুরোধ জানান।
সর্বশেষ রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ২৬ দিন চিকিৎসা শেষে ৭ নভেম্বর গুলশানের বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। বাড়িতে ফেরার ছয়দিনের মধ্যে ১৪ নভেম্বর তাকে আবারো হাসপাতালে নেয়া হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ নানা শরীরিক জটিলতায় ভুগছেন। গত ১০ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার গুঞ্জন ওঠে। পরদিন ১১ এপ্রিল জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকে খালেদা জিয়ার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে বিএনপি। পরে ২৭ এপ্রিল তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর প্রায় এক সপ্তাহ পর খালেদা জিয়া শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে তাকে জরুরিভাবে করোনারি কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। গত ৯ মে করোনার সংক্রমণ থেকে তিনি সুস্থ হন। এরপর গত ১৯ জুন বিএনপি চেয়ারপারসনকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নেয়া হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০০৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয় খালেদা জিয়ার। এ মামলায় বন্দি থাকাকালেই তার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা হয়।এ মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড পান তিনি। আগের মামলায় হাইকোর্টে আপিল করার পর সাজা হয় দ্বিগুণ। ফলে মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর।
দেশে করোনাভাইরাস মহামারীর শুরুর দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন নিয়ে যাওয়ার পর বিশেষ বিবেচনায় মানবিক কারণে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি পান বিএনপি নেত্রী। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ প্রথমে ছয় মাসের জন্য সাময়িক মুক্তি দেয়া হয় তাকে। পরে দফায় দফায় এ মুক্তির মেয়াদ আরো বাড়ানো হয়।