আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ ফুটবলের যাদুকর দিয়াগো ম্যারাডোনা আর নেই। কিংবদন্তি এই ফুটবলার আজ আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনাস আরিসের উত্তরে সান এন্ড্রিসের নিজস্ব বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬০ বছর। তিন সপ্তাহ আগে তার মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেধে গেলে, অপারেশন করে জমাট সরানো হয়েছিলো। অপারেশনের পর বাসায় যখন সেরে উঠছিলেন, এই সময়েই আজ তার কার্ডিয়াক এরেস্ট হলে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৯৮৬ সালের মেক্সিকো বিশ্বকাপে ম্যারাডোনা আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের নেতৃত্ব দিয়ে সোনার কাপ ছিনিয়ে এনে সর্বকালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছিলেন। টুর্নামেন্টে তিনি ইংল্যান্ড দলের সাথে খেলায় পাঁচজন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে গিয়ে একাই এমন একটি গোল করেছিলেন, যা তাকে এনে দিয়েছিলো সোনার বুট। একই সময়ে তার করা একটি বিখ্যাত গোল ‘হ্যান্ড অফ গড’ নামে অভিহিত হয়েছিল।
আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপতি আলবার্তো ফার্নান্দেজ ম্যারাডোনার মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোকের ঘোষণা দিয়ে টুইট বার্তায় বলেন, “আপনি আমাদেরকে বিশ্বের শীর্ষে নিয়ে গেছেন। আপনি আমাদের অসীম আনন্দিত করেছেন। আপনি সর্বকালের সেরা ছিলেন,’ডিয়েগো অস্তিত্বের জন্য ধন্যবাদ। আমরা আপনাকে আজীবন মিস করব।”
শ্বাসরুদ্ধকর খেলার যোগ্যতার জন্য খ্যাত ম্যারাডোনার মাঠের বাইরের জীবন পরবর্তীতে অগোছালো হয়ে উঠে; নেপলসে মাফিয়াদের সাথে তার সখ্যতা গড়ে উঠে, নারী সংসর্গ, অ্যালকোহল এবং কোকেনের উপর তিনি নির্ভরশীল হয়ে পড়েন।
ম্যারাডোনার একমাত্র স্ত্রী ক্লোডিয়া ভিলাফানের (৫৮) গর্ভে তার পাঁচ সন্তানের মধ্যে ডালিয়া এবং গ্যানিনা নামে দুই কন্যা আছেন। তার এই বিয়ে ১৯৮৪ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্য্যন্ত স্থায়ী হয়েছিলো। বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে ডিয়াগো ম্যারাডোনা অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবেন তার শৈলী, ক্ষিপ্রতা আর নান্দনিকতার জন্য।
সূত্রঃ বি বি সি, সি এন এন, আর টি ই