আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ মালয়েশিয়ায় বিদেশি শ্রমিক নিয়োগে এখন থেকে শ্রমিক ব্যবস্থাপনার প্রধান দায়িত্ব পালন করবে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মালয়েশিয়া সরকার বলছে, এই পরিবর্তনের ফলে ভিসা প্রক্রিয়ার জটিলতা কমে আসার পাশাপাশি কম সময়ে কর্মী নিয়োগ করা সম্ভব হবে। মালয়েশিয়ার এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন-বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা)।
গত বৃহস্পতিবার পুত্রাজায়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল বলেন, ‘নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিদেশি শ্রমিক ব্যবস্থাপনার মূল দায়িত্বে থাকবে আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে শ্রমনীতি, কোটার যোগ্যতা নির্ধারণ, চূড়ান্তকরণ ও বিদেশি শ্রমিক আসা দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার ক্ষেত্রে মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা শক্তিশালী করা হবে।’
নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্ভাব্য পরিবর্তন সম্পর্কে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘ভিসা আবেদন থেকে শুরু করে প্রাথমিক অনুমোদনের পুরো প্রক্রিয়াটি ৩০ দিনেরও কম সময়ে সম্পন্ন করার চিন্তা করছি। আমরা দেখতে পাচ্ছি, কম সময়েই প্রাথমিক অনুমোদনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সুযোগ আছে। যেমন- আগে বিজ্ঞাপনের একটা প্রক্রিয়া ছিল, এ জন্য ৩০ দিন পর্যন্ত সময় নেওয়া হতো। এখন আমাদের পরিকল্পনা হলো, এ জন্য মাত্র একদিন ব্যয় করা হবে, এমনকি প্রক্রিয়াটি বাতিলও করা হতে পারে।’
মালয়েশিয়া সরকারের নতুন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বায়রা মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান বলেন, ‘মালয়েশিয়ার নতুন সরকারের নেওয়া উদ্যোগগুলো আমাদের জন্য ভালো খবর। উদ্যোগগুলো কার্যকর হলে কম খরচে কর্মী যেতে পারবে। ভিসা প্রসেসিংয়ে সময় কম লাগবে। এমনকি সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি হবে। বাজার সবার জন্য উন্মুক্ত হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা অপেক্ষায় আছি। আশা করা যায়, আমাদের দেশের জন্য ভালো কিছু হবে।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরাও তো চাই, কম খরচে, কম সময়ে কর্মী পাঠাতে। এখনই এর চেয়ে বেশি মন্তব্য করতে চাই না। আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের কাছে কোনো খবর আসেনি। তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে বোঝা যাবে, তারা কী করবেন।’
এদিকে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা করতে আগামীকাল রবিবার বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠকে বসবেন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল।