রাঙামাটিতে ৯ হাজার ৬০০ টন কমলা উৎপাদনের আশা

আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ আম, কাঁঠাল, আনারস, লিচু, জাম্বুরাসহ রাঙামাটিতে উৎপাদিত ফলের সুনাম সারাদেশে ছড়িয়ে আছে। প্রতি বছর ট্রাকে ট্রাকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে এসব ফল। আগে কমলা উৎপাদন হতো শুধু সাজেকে। সম্প্রতি রাঙামাটির অন্যান্য অঞ্চলেও বেড়েছে কমলার চাষ। চাষি ও কৃষি কর্মকর্তাদের আশা, এবার এ জেলায় ৯ হাজার ৬০০ টন কমলা উৎপাদন হবে।

দিনদিন রাঙামাটিতে অন্যান্য ফলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কমলার বাগান। চাষিরা জানান, সরকারি প্রণোদনা পেলে কমলা চাষ আরো বাড়ানো সম্ভব। জেলা কৃষি অফিস বলছে, কমলার চাষ বিগত কয়েক বছরের চেয়ে বেড়েছে।

নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট ইউনিয়নের শৈলশ্বরীর তালুকদার পাড়ায় ২০০৮ সাল থেকে ২৫-২৩ জন চাষি কমলা বাগান করা শুরু করেন। ২০১৫ সাল থেকে কমলাগাছে ফলন আসা শুরু হয়। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এ বছর কমলার ফলন ভালো হয়েছে, বাজারেও বেশ চাহিদা রয়েছে। আকার ভেদে এখন কমলার জোড়া ৪০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সাজেকের পাহাড়ে পাহাড়ে হলুদ কমলার হাসি

খুচরা বিক্রেতারা জানান, খেতে সুস্বাদু ও ফরমালিনমুক্ত হওয়ায় এখানকার কমলার প্রতি ভোক্তাদের আগ্রহ বেশি। আনুষাঙ্গিক খরচের কারণে দাম একটু বেশি।

বুড়িঘাট এলাকার বাগান মালিক জ্ঞান রঞ্জন চাকমা জানান, এ মৌসুমে তার বাগানের তিন শতাধিক গাছে কমলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তিন লাখ টাকার কমলা বিক্রি করেছেন। আরো তিন লাখ টাকার কমলা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

চুয়াডাঙ্গার সেই চায়না কমলার বাগান এখন বিনোদনকেন্দ্র - banglanews24.com

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটিতে চলতি মৌসুমে দুই হাজার একর জমিতে কমলার ফলন হয়েছে। এর মধ্যে শুধু নানিয়ারচর উপজেলায় চাষ হয়েছে ৬০০ একর জমিতে।

রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক পবন কুমার চাকমা বলেন, এখানে কমলার বাম্পার ফলন হয়েছে। চাষি-বিক্রেতারা ভালো দামও পাচ্ছেন। এ কারণে নতুন নতুন চাষি কমলা চাষে ঝুঁকছেন। চলতি বছর ৯ হাছার ৬০০ টন কমলা ফলনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। কমলা চাষিদের নিয়মিত সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

শীতের ছুটিতে এবারের গন্তব্য কমলালেবুর গ্রাম সিটং » আদার ব্যাপারী
SHARE THIS ARTICLE