রোহিঙ্গা জনগণের ওপর হত্যাযজ্ঞে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ হওয়া উচিৎ:ব্রিটিশ এম পি রুশনারা আলী

আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) রোহিঙ্গা জনগণের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালানোর স্বীকারোক্তি দিয়ে মিয়ানমারের দুই সেনার সাক্ষ্য দেওয়ার সংবাদে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন বৃটেনের বিরোধী লেবার দলের বাংলাদেশি-বংশোদ্ভূত এমপি রুশনারা আলী ও ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের প্রভাবশালী এমপি জেরেমি হান্ট।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শীর্ষস্থানীয় বৃটিশ পার্লামেন্ট সদস্যরা আইসিসি’র প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, মিয়ানমারের ওই দুই সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হোক। তারা ইতিমধ্যেই ভিডিওতে রোহিঙ্গাদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালানোর কথা স্বীকার করেছে। এই দুই সৈন্য গ্রেপ্তার না হলেও, আইসিসি’র হেফাজতে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

রোহিঙ্গা নির্যাতন: গাম্বিয়ার মামলার আদেশ ২৩ জানুয়ারি || Somoynews.tv

জ নাইং তুন ও ম্যো উইন নামে ওই দুই সেনার স্বীকারোক্তির বিষয়টি নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এই প্রথমবারের মতো মিয়ানমার বাহিনীর কোনো সৈন্য সরাসরি হত্যাযজ্ঞে অংশ নেয়ার কথা স্বীকার করেছে। শিশুসহ বাছবিচারহীনভাবে হত্যাকা-ে অংশ নিতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার কথাও তারা বলেছেন।
রাইটস অব রোহিঙ্গা অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের কো-চেয়ার রুশনারা আলী এমপি ও জেরেমি হান্ট এমপি এই বিষয়ে বলেন, ‘প্রকাশ্যে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে, আমরা এই দুই সৈন্যের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ, ও জুরিসডিকশন থাকলে, গণহত্যার অপরাধে এখনই অভিযোগ গঠনের বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে আইসিসি কৌঁসুলিদের প্রতি আহ্বান জানাই।

রোহিঙ্গা নির্যাতন নিয়ে আলজাজিরার নতুন ভিডিও

তারা আদিষ্ট হয়ে কাজ করেছে বা তারা কোনো জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নয়Íএই বিষয়টি তাদের ক্ষেত্রে আইসিসি’র কর্তৃত্ব প্রয়োগ না করার কোনো কারণ হতে পারে না।
কারণ আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আইন অনুযায়ী আইসিসি ন্যায়বিচার লাভের লক্ষ্যে নেমেছে। দুই গ্রামে রোহিঙ্গাদের শ’ শ’ মানুষকে হত্যা করা আন্তর্জাতিক অপরাধ। যারা এই হত্যাযজ্ঞে অংশ নিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ হওয়া উচিৎ। এ কারণেই আইসিসি সৃষ্টি হয়েছিল।’

SHARE THIS ARTICLE