আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ রাজধানীর বাজারগুলোতে এখন শীতকালীন সবজিতে ভরপুর। ফুলকপি, বাঁধাকপি থেকে শুরু করে মূলা, শিম, লাউ, গাজরসহ সব ধরনের সবজি দোকানে থরে থরে সাজানো। আর সরবরাহ বাড়ায় কমতে শুরু করেছে এসব সবজির দাম।
শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এমনটি দেখা গেছে। তবে ব্যতিক্রম শুধু টমেটো। এখনো টমেটোর কেজি ধরনভেদে ৬০-৭০ টাকা।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা, শালগম বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা, গাজর ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বেগুন ২০ থেকে ৩০ টাকা, করলার ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পাকা টমেটো ৪০ টাকা, কাঁচা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা, বরবটি ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, বাঁধাকপি ও ফুলকপিতে ১০ টাকা কমে বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, ফুলকপি ১৫ থেকে ২০ টাকার মধ্যে। এদিকে মুলা শাক ১০ টাকা এবং পালং শাক ১০ টাকা আটি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
দাম কমেছে নতুন আলু ও পেঁয়াজের। কেজিতে ২০ টাকা কমে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়, নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। ১০ টাকা দাম কমে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া আদা প্রতিকেজি ৮০ টাকা, রসুনের কেজি ১২০ টাকা।
বাজারে প্রতি কেজি চিনিতে ৫ টাকস দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। প্রতি কেজি চালে ৩ থেকে ৫ টাকা দাম বেড়ে আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা, পায়জাম ৪৮ থেকে ৫০ টাকা, মিনিকেট ৬৫ টাকা, নাজির ৬৫ টাকা, পোলাওয়ের চাল ১০০ টাকা। খোলা ভোজ্যতেল লিটারে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়।
অপরিবর্তিত আছে ডিমের দাম। এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা, হাঁসের ডিম ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৬০ টাকা, ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা।
মাংসের বাজার ঘুরে দেখা যায়, খাসির মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা, গরুর মাংস ৫৫০ টাকা, মহিষ ৫৫০-৫৮০ কেজি দরে বিক্রি করছেন ব্যাবসায়ীরা
এছাড়া বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১২০-১৩০ টাকা, সোনালী বা কক ১৯০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২০০-২২০ টাকা, লেয়ার মুরগি ১৮০ টাকা ও দেশি মুরগি ৪০০-৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।