আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিশাম মেচিচিকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কোভিড মহামারী প্রতিরোধ ও অর্থনৈতিক দুরাবস্থার বিরুদ্ধে দেশটির বেশ কয়েকটি নগরীতে বিক্ষোভের পর প্রেসিডেন্ট পার্লামেন্ট স্থগিত ও প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করার কথা ঘোষণা করেছেন। স্পিকার রশিদ ঘানুশি এই পদক্ষেপকে বিপ্লব ও সংবিধানের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান হিসেবে অভিহিত করেছেন।
প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ রোববার বলেন, তিনি নতুন প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় নির্বাহী ক্ষমতা গ্রহণ করবেন। অবশ্য, ২০১৪ সালের সংবিধানে প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও পার্লামেন্টের মধ্যে ক্ষমতার যে বিভাজন করা হয়েছিল, তার সাথে এটি সাঙ্ঘর্ষিক কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
মিডিয়ায় প্রচারিত এক বিবৃতিতে প্রেসিডেনট বলেন, অনেক লোক ভণ্ডামি, বিশ্বাসঘাতকতা ও জনগণের অধিকার হননে প্রতারিত হয়েছে।
তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পার্লামেন্ট সদস্যদের দায়মুক্তিও স্থগিত করা হবে।
প্রেসিডেন্ট তার প্রাসাদে এক জরুরি সভা করার পর এই বিবৃতি জারি করেন।
এর আগে বেশ কয়েকটি নগরীতে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।পার্লামেন্টের বৃহত্তম দল আন নাহদা পার্টিও এসব বিক্ষোভের মুখে পড়ে।
তিউনিসিয়ার পার্লামেন্টের স্পিকার রশিদ ঘানুশি এই পদক্ষেপকে বিপ্লব ও সংবিধানের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান হিসেবে অভিহিত করেছেন।
তিনি ফোনে রয়টার্সকে বলেন, আমরা মনে করি যে প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো টিকে আছে, আননাহদার সমর্থক ও তিউনিশিয়ার জনগণ বিপ্লবের বিরুদ্ধে এই অভ্যুত্থান প্রতিরোধ করবে।
আননাহদাও এই পদক্ষেপকে বিপ্লবের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান হিসেবে অভিহিত করেন।
আন নাহদা তাদের ফেসবুকে এক বিবৃতিতে জানায়, কায়েস সাইদ যা করছেন, তা বিপ্লব ও সংবিধানের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান। আননাহদা ও তিউনিশিয়ার জনগণ বিপ্লব রক্ষা করবে।
প্রেসিডেন্ট সাইদ এক বছরের বেশি সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী মেচিচির সাথে বিরোধে নিয়োজিত রয়েছেন। দেশটি অর্থনৈতিক সঙ্কটে জর্জরিত। তাছাড়া কোভিড-১৯ মহামারীতেও বিধ্বস্ত।
সাইদ ও পার্লামেন্ট উভয়ে ২০১৯ সালে আলাদা আলাদা নির্বাচনে নির্বাচিত হয়। আর গত বছর মেচিচি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার আগের প্রধানমন্ত্রীও বেশি দিন দায়িত্ব পালন করতে পারেননি।
তিউনিসভিত্তিক সাংবাদিক রাবেব আলো আল জাজিরাকে বলেন, সাইদের এই পদক্ষেপে বিস্ময়ের কিছু ছিল না। তিনি ইতোমধ্যেই পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়া ও প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করার হুমকি দিয়ে আসছিলেন।
তিনি বলেন, গত সেপ্টেম্বর থেকে আমরা রাজনৈতিক সঙ্কটে রয়েছি।
সূত্র : আল জাজিরা