‘বিটকয়েন’ হতে যাচ্ছে ভবিষ্যতের মুদ্রা

আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ ক্রিপটোকারেন্সিতে কেনাবেচা যারা সমর্থন করেন তাদের দাবি ভবিষ্যতের মুদ্রা হবে বিটকয়েন আর এই ডিজিটাল মুদ্রাতেই ভবিষ্যতে মানুষ অনলাইনে আর্থিক লেনদেন করবে।

এর ফলে, তাদের মতে, মানুষকে আর বড় বড় ব্যাংকের ওপর নির্ভর করতে হবে না। অন্যদিকে ডিজিটাল মুদ্রা বিটকয়েন নিয়ে উদ্বেগও রয়েছে।

এই মুদ্রায় লেনদেনের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট আইনকানুন না থাকায় দায়বদ্ধতার ব্যাপারে উদ্বেগ আছে। পাশাপাশি আছে পরিবেশের ওপর এর প্রভাব নিয়ে বড় ধরনের আশঙ্কা।

আজকের নগদ মুদ্রার মতো বিটকয়েন কোনো হাতে ধরার বস্তু নয়। এটি এক ধরনের ডিজিটাল ও ভার্চুয়াল অর্থ। অনলাইনে কেনার জন্য এই মুদ্রার ব্যবহার অনেকটাই বাড়ছে। এমনকি বিশ্বের কয়েকটি দেশের সাধারণ দোকানেও বিটকয়েনে কেনাবেচা চলছে।

তত্ত্বগতভাবে বিটকয়েনে খরচ করা একটি ইমেইল পাঠানোর মতোই সহজ। এটা কোনো মাধ্যম বা ব্যাংক ব্যবহার না করেই সরাসরি গ্রহীতার কাছে পৌঁছানো যায়। অর্থের লেনদেন চালায় সেচ্ছাসেবীদের একটি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা।

তাদের কম্পিউটার কেনাবেচা যাচাই করে দেখে। এরপর সেটি ব্লকচেইন নামের বিশাল একটি তালিকায় ওঠানো হয়। এই কাজের জন্য তারা খুব অল্প পরিমাণ বিটকয়েন রোজগার করে। একে বলা হয় মাইনিং। এভাবেই এক একটি বিটকয়েন উৎপাদন করা হয়।

সমালোচকরা বলেন যে, এসব মাইনাররা নতুন মুদ্রা তৈরিতে যে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন তা পরিবেশের জন্য খারাপ।

বিটকয়েন ব্যবহারের নির্দিষ্ট কোনো নিয়মনীতি নেই। বিনা পরিচয়েই এটি লেনদেন করা যায়। ফলে অপরাধীদের কাছে ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার জনপ্রিয়।

এর পক্ষের লোকেরা বলেন, এত মানুষ ব্যাংক ও সরকারকে বাদ দিয়ে কাজ করতে পারে এবং এটি মুদ্রার জগত নিয়ে প্রচলিত ধ্যানধারণা ও ভবিষ্যত পাল্টে দেবে।

SHARE THIS ARTICLE