বেলারুশ-পোল্যান্ড সীমান্তে আটকে পড়া অভিবাসীদের ইউক্রেন সাময়িকভাবে আশ্রয় দিবে

আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ বেলারুশ-পোল্যান্ড সীমান্তে আটকে পড়া অভিবাসীদের ইউক্রেন সাময়িকভাবে আশ্রয় দিতে পারে বলে মনে করছেন কেউ কেউ৷ তবে দেশটির রাজধানী কিয়েভে এই বিষয়ে সমর্থন তেমন একটা নেই৷

জার্মানির এক সংসদ সদস্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বহিঃসীমান্তে অবস্থানরত অভিবাসীদের ইউক্রেনে পাঠানোর প্রস্তাব দেয়ার পর থেকে কিয়েভে উত্তপ্ত আলোচনা চলছে৷ ইইউ এই অভিবাসীদের আশ্রয়ের আবেদন যাচাইবাছাই করার সময়টাতে তাদের কিয়েভে রাখার কথা চিন্তা করা হচ্ছে৷ খবর ইনফোমাইগ্রেন্টসের

তবে, এই বিষয়ে বার্লিন বা ব্রাসেলস এখনো ইউক্রেনের নেতৃত্বের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগাযোগ করেনি৷ জার্মানির মধ্যবামপন্থি দল এসপিডির সাংসদ নিলস স্মিডের এই প্রস্তাব অবশ্য একেবারে অভিনব নয়৷

বেশ কয়েক সপ্তাহ আগেই ইউরোপীয়ান স্ট্যাবিলিটি ইনেশিয়েটিভ (ইএসআই) থিঙ্ক ট্যাংকের প্রধান গেরাল্ড ক্নাউস একই ধরনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন৷ এই সংস্থাটি ২০১৬ সালে অভিবাসন বিষয়ক ইইউ-তুরস্ক চুক্তির রূপকার ছিল যেখানে ইইউতে আশ্রয় আবেদন প্রত্যাখ্যাতদের তুরস্কে আশ্রয় দেয়ার বিষয়টি ছিল৷ বিনিময়ে তুরস্ককে অভিবাসীদের সহায়তা দেয়ার জন্য সবমিলিয়ে ছয় বিলিয়ন ইউরো দিতে সম্মত হয় ব্রাসেলস৷

ক্নাউস মনে করেন, একই ধরনের ব্যবস্থা বেলারুশ ইস্যুতেও করা যেতে পারে৷ তবে দেশটির ক্ষমতাশালী শাসক আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো এধরনের কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে রাজি হবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে এই বিশেষজ্ঞের মনে৷

‘‘সেক্ষেত্রে পূর্ব ইউরোপের যেসব গণতন্ত্র ইউরোপের দিকে তাকিয়ে আছে এবং মানবিক বিবেচনায় তাদের আশ্রয় দিতে চায় এরকম কারো সঙ্গে চুক্তির চেষ্টা করা যেতে পারে৷ মলদোভা, জর্জিয়া বা ইউক্রেন এরকম কোনো দেশ হতে পারে,’’ বলেন ক্নাউস৷

তবে কিয়েভ এখন অবধি বেশ ঠাণ্ডা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে৷ ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা পরিষদের সচিব অলেক্সি ড্যানিলভ সম্প্রতি প্রশ্ন করেছেন, ‘‘কোন ভয় এই মানুষদের নিতে আমাদের বাধ্য করবে?’’

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মাইখিলো পোডালিয়াক ডয়চে ভেলের কাছেও একইরকম প্রতিক্রিয়া ব্যক্তি করেছেন৷ দেশটি এধরনের অভিবাসী চুক্তির পক্ষে নয় বলে জানিয়েছেন তিনি৷

যেহেতু বেলারুশ-পোল্যান্ড সীমান্তে জড়ো হওয়া মানুষরা আকাশপথে বেলারুশ হয়ে কিংবা রাশিয়া থেকে বিভিন্নভাবে ইইউ সীমান্ত অবধি পৌঁছাচ্ছে তাই এই সংকট সুরাহায় রাশিয়ার সঙ্গে জার্মানির আলোচনা করা দরকার বলে মনে করেন পোডালিয়াক৷

‘‘জার্মানি এবং রাশিয়া অনেক বছর ধরেই অংশীদার,’’ বলেন তিনি৷

শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রেও ইউক্রেনের রেকর্ড বিশেষ সুবিধার নয়৷ দেশটিতে এধরনের আবেদন যাচাইবাছাইয়ে কয়েক বছর অবধি সময় লেগে যায়৷ জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের হিসেব অনুযায়ী ইউক্রেনের শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় পাওয়া মানুষের সংখ্যা দুই হাজার ২৫৫ জন৷

SHARE THIS ARTICLE