আইরিশ বাংলা পোস্ট ডেস্কঃ অবশেষে ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটেও জো বাইডেন প্রত্যাশিত ৩০২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হলেন। জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবার জন্য প্রয়োজনীয় ২৭০ ভোট থেকে ৩২ ভোট বেশী পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। ইলেক্টোরাল কলেজের ভোট সাধারণতঃ প্রতিকী গুরুত্ব বহন করে থাকে, যদিও ইলেক্টোরাল কলেজের সাংবিধানিক অধিকার আছে কিন্তু প্রচলিত রীতি অনুসারে প্রতিটি রাজ্যের পপুলার ভোটে যে প্রার্থী অধিক ভোট পেয়ে থাকেন, ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটার সকলেই তার পক্ষে ভোট প্রদান করে থাকেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক নির্বাচনে জো বাইডেন পপুলার ভোটে বিজয়ী হলে, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কোনভাবেই তা মানতে পারছিলেন না। তিনি বারেই বারেই নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে অভিযোগ করে পরাজয় স্বীকার করে নিতে অস্বীকৃতি জানান, এরপর তিনি কারচুপির অভিযোগ এনে বেশ কয়েকটি মামলা করলে প্রতিটি মামলা আদালতে খারিজ হয়ে যায়।
এদিকে ইলেক্টোরাল কলেজের ভোটে বাইডেন নির্বাচিত হওয়ার অব্যবহিত পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের এটর্নী জেনারেল উইলিয়াম বার তার পদত্যাগপত্র প্রদান করেন। এটর্নী জেনারেলের সাথে ট্রাম্পের স্নায়ুযুদ্ধ চলছিলো কয়েকদিন থেকেই এবার তার বহিঃপ্রকাশ ঘটলো।
এবার দেখার পালা ডোনাল্ড ট্রাম্প কি করেন? আগামী ২০শে জানুয়ারি নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ক্ষমতা গ্রহনের নির্ধারিত দিন। এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবেই থাকছেন, তবে নির্বাচনে পরাজয় মেনে না নেওয়া, কারচুপির অভিযোগ এনে মামলা করে সকল মামলায় পরাজিত হওয়া কোনভাবেই একজন সুস্থ মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্য শোভনীয় নয় এটা অনেকেই মনে করছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের অগোছালো কর্মকান্ড বিশ্বে যুক্ত্যরাষ্ট্রের অবস্থানকে কতটুকু হেয় প্রতিপন্ন করল সেটা যদি মেপে দেখা যেত।
সংবাদ সূত্রঃ সি এন এন, বি বি সি, আল জাজিরা