নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় করা ফরজ: কোরআন

আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ নামাজ (ফারসি: نماز‎‎) বা সালাত (আরবি: صلاة‎‎) ইসলাম ধর্মের ৫টি রোকনের মধ্যে দ্বিতীয় রোকন। মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা মুমিন নারী-পুরুষের ওপর ৫ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন এবং ৫ ওয়াক্ত নামাজের জন্য সময় নির্ধারণ করেছেন। ইচ্ছাকৃত ফরজ নামাজ না পড়া কবিরা গুনাহ বা বড় পাপ। কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাজের হিসাব নেয়া হবে।

আর তাই প্রতিটি মুমিন বান্দার দায়িত্ব হলো যথাসময়ে ফরজ নামাজ আদায় করা। প্রত্যেক নামাজের নির্ধারিত ওয়াক্ত বা সময় হলে নামাজ আদায় করতে হবে। 
রাব্বু আলামিন আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনুল কারিমে ইরশাদ করেছেন, ‘নিশ্চয়ই নামাজ নির্ধারিত সময়ে আদায় করার জন্য মুমিনদের ওপর ফরজ করা হয়েছে’। (সূরা: নিসা, আয়াত: ১০৩)

যথাসময়ে ফরজ নামাজ আদায়ের মাধ্যমে একজন মুসলিম মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে। আউয়াল বা শুরুর ওয়াক্তে নামাজ আদায় করা আল্লাহ তাআলার কাছে অধিক পছন্দনীয়। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে প্রশ্ন করলাম, ‘আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয় আমল কোনটি’? তিনি বললেন, ‘যথাসময়ে নামাজ আদায় করা’। আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘তারপর কোনটি’? তিনি বললেন, ‘মা-বাবার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা’। আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘তারপর কোনটি’? তিনি বললেন, ‘আল্লাহর পথে জিহাদ করা’। তিনি আমাকে এ কথাগুলো বললেন। যদি আমি আরো প্রশ্ন করতাম তাহলে তিনি আরো অতিরিক্ত বিষয়ে বলতেন’। (মুসলিম, হাদিস: ১৫৫)

নামাজের শুরুর সময়ে নামাজ পড়া উত্তম। শুরুর সময়ে নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে অলসতা করা যাবে না। দেরি করে নামাজ আদায় করলে বিপুল সওয়াব থেকে বঞ্চিত হতে হয়।

বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ (সা.) শুরুর সময়ে নামাজ আদায়ের কথা বলেছেন। সওয়াবের সুসংবাদ দিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘শুরুর ওয়াক্তে নামাজ পড়লে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায় আর শেষ ওয়াক্তে নামাজ পড়লে আল্লাহর ক্ষমা পাওয়া যায়’। (তিরমিজি, হাদিস: ১৭২) এখানে ‘আল্লাহর ক্ষমা পাওয়া যায়’ কথাটির অর্থ হলো, নামাজের যে বিধান তার ওপর ছিল সেটা থেকে মাফ পাওয়া যায়। কিন্তু শুরুর ওয়াক্তে পড়লে আল্লাহর যে সন্তুষ্টি লাভ হওয়ার কথা ছিল সেটা পাওয়া যায় না।

নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়ে গেলে দেরি করা উচিত নয়। নবীজি (সা.) সাহাবিদের প্রথম ওয়াক্তে নামাজ পড়ার তাগিদ দিয়েছেন।

আলি (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাকে বলেছেন, ‘হে আলি, ৩টি ব্যাপারে দেরি করো না- ১. যখন নামাজের ওয়াক্ত হয়ে যায় তখন নামাজ পড়তে দেরি করো না। ২. যখন জানাজা উপস্থিত হয়ে যায় তখন জানাজা পড়তে দেরি করো না। ৩. সন্তান যখন বিয়ের উপযুক্ত হয়ে যায় এবং উপযুক্ত সঙ্গী পাওয়া যায় তখন বিয়ে দিতে দেরি করো না’। (তিরমিজি, হাদিস: ১৭১)

SHARE THIS ARTICLE