আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ ফেতনা-ফ্যাসাদের এ সময়ে আমাদের জীবন হুদাল্লিন-নাস (মানবজাতির দিশারী) তথা পবিত্র কোরআন কেন্দ্রিক হওয়া জরুরি। এ জন্য কোরআন পড়তে হবে আর কোরআন পড়া রাব্বুল আল্লামিন আল্লাহ তাআলার আদেশও।
পবিত্র কোরআন হচ্ছে আল্লাহর এক মহা-নেয়ামত, ক্ষণস্থায়ী অস্তিত্বের একমাত্র সহায়ক হাতিয়ার, ভয় ও দুশ্চিন্তা দূর করার মাধ্যম, স্রষ্টার সান্নিধ্য ও নৈকট্য লাভের একমাত্র পথ, মুত্তাকিদের জন্য পথ-প্রদর্শক,পথের দিশা, পুঞ্জিভূত সম্পদের চেয়েও শ্রেষ্ঠ সম্পদ, রোগাক্রান্ত অন্তরের আরোগ্যকারী, শয়তানের বিরুদ্ধে সবচাইতে শক্তিশালী মিত্র, ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্যকারী।
মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা ও তার প্রিয় হাবিব রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা বলেছেন পবিত্র কোরআন পাঠের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে-
> ‘এ (কোরআন) সে-ই কিতাব, যাতে কোনো সন্দেহ নেই, এতে রয়েছে মুত্তাকীদের জন্য পথের দিশা।’ (সূরা: বাকারা, আয়াত: ২)
> ‘হে মানুষ! তোমাদের জন্য এসেছে উপদেশ তোমাদের রবের পক্ষ থেকে এবং অন্তরে যা আছে তার নিরাময় আর মুমিনদের জন্য হেদায়াত ও রহমত।’ (সূরা: ইউনুছ, আয়াত: ৫৭)
> ‘বলুন, এ কোরআন আল্লাহর অনুগ্রহ ও তার রহমত, অতএব তারা সবাই আনন্দিত হোক। তারা যা কিছু জমা করে এই কোরআন তার চেয়ে অনেক উত্তম।’ (সূরা: ইউনুছ, আয়াত: ৫৮ )
> ‘রমজান মাসেই কোরআন নাজিল করা হয়েছে, যা মানুষের জন্য হেদায়াত, সৎপথের স্পষ্ট নিদর্শন এবং সত্য ও মিথ্যার পার্থক্যকারী।’ (সূরা: বাকারা, আয়াত: ১৮৫)
> ‘আপনার প্রতি নাজিলকৃত কোরআন পড়ুন এবং নামাজ কায়েম করুন।’ (সূরা: আনকাবুত, আয়াত: ৪৩)
> ‘আমি যাদের কিতাব দিয়েছি, তারা তা যথোপযুক্তভাবে পড়ে, তারা এর প্রতি নিষ্ঠা সহকারে ঈমান আনে।’ (সূরা: বাকারা, আয়াত: ১২১)
রাসূল (সা.) এর নির্দেশ হচ্ছে-
> ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি তিনি, যিনি কোরআন শিক্ষা লাভ করেন ও কোরআনের শিক্ষা দান করেন (প্রচার করেন)’ (বুখারি)
> ‘তোমরা ফরজ এবং কোরআন মজিদ শিক্ষা কর এবং লোকদিগকে শিক্ষা দাও।’ (মিশকাত)।
> ‘জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলিমের উপর ফরজ।’ (ইবনে মাজাহ)