ফ্রান্সে অভিবাসীদের করুণ জীবন

আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ ফ্রান্সের বিভিন্ন ক্যাম্পে করুণ জীবন যাপন করছে অভিবাসীরা। দেশটির কালে এলাকার আশেপাশে অভিবাসীদের অস্থায়ী ছাউনিতে অবস্থানরত শিশু ও বয়স্কদের সাথে ফরাসি কর্তৃপক্ষ প্রায়ই অবমাননাকর আচরণ করে বলে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাব্লিউ) জানিয়েছে৷

ফরাসি কর্তৃপক্ষ পাঁচ বছর আগে কালের জঙ্গলখ্যাত অভিবাসী শিবিরটি ভেঙে দেয়। তারপর থেকে সহস্রাধিক অভিবাসী বিভিন্ন অস্থায়ী ছাউনি গড়ে শহরটির আশেপাশে অবস্থান করছেন। খবর ইনফো মাইগ্রেন্টসের

‘‘এনফোর্সড মিসোরি: দ্য ডিগ্রেডিং ট্রিটমেন্ট অব মাইগ্রেন্ট চিলড্রেন এন্ড এডাল্টস ইন নর্দান ফ্রান্স’’ শিরোনামের ৭৯ পাতার প্রতিবেদনে কালেতে অভিবাসীদের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা নানাভাবে হেনস্থার শিকার হওয়ার বিভিন্ন ঘটনা উল্লেখ করেছে মানবাধিকার সংস্থাটি৷

মূলত অভিবাসীরা যাতে কালে ছেড়ে অন্যত্র চলে যায় সেই লক্ষ্য নিয়েই সেখানকার কর্তৃপক্ষগুলো অভিবাসীদের সঙ্গে অপমানজনক আচরণ করে বলে মনে করছে এইচআরডাব্লিউ৷

ফ্রান্সে প্রথম অভিবাসী শিশুদের পাঠাল গ্রিস

‘‘মানুষকে প্রতিদিন হেনস্থা করা এবং অপমান করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়,’’ বলেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ফ্রান্স পরিচালক বেনেডিক্ট জেনোরোড৷

‘‘উদ্দেশ্য যদি হয়ে থাকে উত্তর ফ্রান্সে মানুষকে সমবেত হওয়াতে নিরুৎসাহিত করা, তাহলে এধরনের আচরণ করার কৌশল পরিষ্কারভাবে ব্যর্থ হচ্ছে এবং এই কৌশল মারাত্মক ক্ষতি করছে,’’ যোগ করেন তিনি৷

অভিবাসীদের সঙ্গে এরকম আপত্তিকর আচরণ করা থেকে ফরাসি কর্তৃপক্ষের সরে আসা উচিত বলেও মনে করেন বেনেডিক্ট৷

তিনি বলেন, ‘‘গত পাঁচ বছর ধরে অভিবাসীদের সঙ্গে ফরাসি কর্তৃপক্ষ যা করছে তা থেকে তাদের সরে আসা উচিত৷ কর্তৃপক্ষের উচিত মানুষকে সহায়তায় নতুন ধরনের কিছু করা, তাদেরকে ক্রমাগতভাবে হেনস্থা এবং অপমান করা উচিত নয়৷’

SHARE THIS ARTICLE