আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃগত সপ্তাহে গলওয়ের ক্লিফডনে সংসদীয় গলফ সোসাইটির বার্ষিক ভোজসভায় যোগদান বিতর্কে কৃষিমন্ত্রী ও সেনেড ভাইস চেয়ারম্যানের পদত্যাগের পর বিপুল বিতর্ক ও সমালোচনার মুখে অবশেষে বিদায় নিলেন ইইউ ট্রেড কমিশনার ফিল হোগান। গত সপ্তাহে তিনি বলেছিলেন, তিনি কোন বিধি লংঘন করেন নি তাই পদত্যাগ করবেন না। তার এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সারা দেশে রাজনৈতিক, সাংবাদিক ও সামাজিক পরিমণ্ডলে বিপুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এক পর্য্যায়ে প্রধানমন্ত্রী ও উপপ্রধানমন্ত্রী উভয়েই তাকে তার অবস্থান পুনর্বিবেচনার অনূরোধ করেছিলেন। তবুও তিনি অনড় ছিলেন। �আজ অবশেষে তার পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে ফিল হোগান বলেন, “আমি কোন বিধি লংঘন করিনি তবে সমাজে বিতর্ক আমার কাজকে ব্যাহত করছে।” তিনি স্বীকার করেন যে তিনি ভুল করেছিলেন, বিধি লঙ্ঘিত না হলেও সরকারী নির্দেশনার ব্যাত্যয় হয়েছিল, এটা তার করা ঠিক হয়নি। তিনি এই ভুলের জন্য অনুশোচনা ব্যাক্ত করেন। তিনি আরও বলেন যে, গত কয়েকদিন থেকে তিনি গভীরভাবে ভেবেছেন এবং এই মুহূর্তে তিনি মনে করছেন এই বিভ্রান্তি নিরসন হওয়া প্রয়োজন।
�তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, “ইউরোপীয় কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আমার জন্য ছিল সম্মানের। আমি বিশ্বাস করি ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রকল্পটি আমাদের মহাদেশের মুকুট অর্জন, শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য একটি শক্তি, যা পৃথিবী কখনও দেখেনি।” ফিল হোগান আরও বলেন, “আমি এও বিশ্বাস করি যে আয়ারল্যান্ডের নিয়তি গভীরভাবে ইউরোপীয় এবং আমাদের ক্ষুদ্র, গর্বিত, স্বাধীন জাতি ইইউর কেন্দ্রস্থলে একটি অনুপ্রেরণামূলক এবং সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।” তিনি বলেন, তাঁর প্রায় ৪০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে তিনি জনসেবায় আজীবন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন। আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী, উপপ্রধানমন্ত্রী এবং গ্রিন পার্টি নেতা বলেছেন যে মিঃ হোগানের সিদ্ধান্ত “গত সপ্তাহের পরিস্থিতি অনুসারে সঠিক পদক্ষেপ ছিল”। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভেন ডের লিয়েন, ব্রাসেলসে কাজ শুরু করার পর থেকে মিঃ হোগানের অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “কাজ শুরুর পর থেকে ট্রেড কমিশনার হিসাবে তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য এবং পূর্ববর্তী কৃষির দায়িত্বে নিযুক্ত কমিশনার হিসাবে তার সফল মেয়াদে আমি তার কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।” ব্রাসেলসে মিঃ হোগানের স্থলে সম্ভাব্য মনোনীত প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন বৈদেশিক বিষয়ক মন্ত্রী সাইমন কোভনি, ইউরোপীয় সংসদের সহ-সভাপতি মারিড ম্যাকগিনিস এবং প্রাক্তন সরকারের মন্ত্রী রিচার্ড ব্রুটন।