
ওবায়দুর রহমান রুহেলঃ আয়ারল্যান্ড সরকার পাসপোর্ট অফিসের কাজের গতি বাড়াতে ও ১.৭ মিলিয়ন আবেদনকারীর দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটাতে সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টে নতুন কর্মী নিয়োগ দিচ্ছে।ইতোমধ্যে ১০ মিলিয়ন ইউরো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে নতুন কর্মী নিয়োগ ও পাসপোর্টের অপেক্ষমান আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করার জন্য।
মূলত বৈশ্বিক করোনা মহামারী স্বাভাবিক হয়ে আসার দরুন স্থানীয় আইরিশদের মধ্যে বিদেশে ছুটি কাটানোর প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে তাই পাসপোর্ট অফিসের লোকবল দ্বিগুণ করে বিশেষ বরাদ্দ বাড়িয়ে স্থবির হয়ে পড়া সরকারি এই সেবা খাতে গতি ফেরাতে কর্তৃপক্ষের প্রাণান্ত চেষ্টা।
নতুন বছরের জানুয়ারি মাসে রেকর্ড ১,৩৮০০০ আবেদনকারী নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন যা পাসপোর্ট অফিসের কর্তৃপক্ষের কাছে গতবছর আইরিশ সামারের পর মাত্রাতিরিক্ত কাজের চাপ বয়ে এনেছে। নবায়নযোগ্য পাসপোর্টের আবেদন সর্বোচ্চ ৪৮ ঘন্টার ভেতরে নিষ্পত্তি করা গেলেও নতুন পাসপোর্টের আবেদনকারীকে দীর্ঘ ৪০ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
কোন কোন ক্ষেত্রে এই অপেক্ষার সময় আরও বেশী হয়ে থাকে। মিনিস্টার অব ফরেঞ্জ এফেয়ার্স সীমন কভেনি গতকাল শুক্রবার আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলেন “পাসপোর্ট অফিসের এই দীর্ঘ অপেক্ষা আবেদনকারীদের মনে হতাশা বাড়াচ্ছে, এটি একটি বিরাট সমস্যা।
আমারা অপেক্ষমান সময়কে কমিয়ে আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।” মি. কভেনি গণমাধ্যমে কথা বলার সময় এই নিশ্চয়তা দেন যে ” ডিপার্টমেন্টের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে যা বর্তমান সেবাগ্রহীতার চাহিদাকে পূরণ করতে সচেষ্ট হবে। ” ” এই বছর ১.৭ মিলিয়ন আবেদনকারীর পাসপোর্টের জন্য অপেক্ষমান যা ২০১৯ সালে কভিড-১৯’র পূর্বে ছিল ৯,৩৫০০০।সুতরাং আমরা আমাদের পাসপোর্ট অফিসের সেবার মান তরান্বিত করছি, মি.কভেনি নিউজটক ব্রেকফাস্টের সাথে স্বাক্ষাতকার দেওয়ার সময় বলেন।” গতবছর আইরিশ সামারে পাসপোর্ট অফিসে ৪৬০ জন সেবাদানকারী কর্মী ছিলেন যা এবছর মার্চ নাগাদ ৯০০ জনে উন্নীত করা হবে।