আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ ২০২০ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় আশাব্যঞ্জক ফল না পেয়ে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৭১ জন পরীক্ষার্থী ফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদন করেছেন। তারা মোট ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯১৯টি খাতা চ্যালেঞ্জ করেছেন।
এদের মধ্যে শুধু এসএসসির ৩ লাখ ৯৫ হাজার ৮৯৮টি, দাখিলের ২৮ হাজার ৪৮৪টি এবং এসএসসি ভোকেশনালের ১৭ হাজার ৫৩৭ টি খাতা পুনর্নিরীক্ষার আবেদন করা হয়েছে।
এদিকে রোববার (৭ জুন) ফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদনের সুযোগ শেষ হয়। সোমবার (৮ জুন) আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ৩১ মে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। যারা প্রত্যাশিত ফল পাননি তারা গত ১ জুন থেকে ৭ জুন পর্যন্ত ফল পুনর্নিরীক্ষার আবেদন করতে পেরেছে।
সূত্রে জানা যায়, পুনর্নিরীক্ষার আবেদন করা ২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৭১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ঢাকা বোর্ডের ৫৭ হাজার ৭৯০ জন পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৪৬ হাজার ২৬০ টি খাতা পুনর্নিরীক্ষার আবেদন করেছেন। এছাড়া বরিশাল বোর্ডে ২৩ হাজার ৮৫০ টি খাতা, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৫২ হাজার ২৪৬ টি খাতা, কুমিল্লা বোর্ডে ৩৯ হাজার ৩০৩টি খাতা, দিনাজপুর বোর্ডে ৪০ হাজার ৭৫টি খাতা, যশোর বোর্ডে ৩৪ হাজার ২৮৫টি খাতা, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৩১ হাজার ৩৩১ টি খাতা, রাজশাহী বোর্ডে ৪৪ হাজার ৬১টি খাতা এবং সিলেট বোর্ডে ২৩ হাজার ৭৯০টি খাতা পুনর্নিরীক্ষার আবেদন করা হয়েছে।
তবে খাতা চ্যালেঞ্জ করার মানে এই নয় যে, খাতাগুলো নতুন করে মূল্যায়ন করা হবে। বাস্তবে খাতাগুলোর নম্বর গণনা ঠিক আছে কিনা তা দেখা হবে। প্রতিবছর শত শত পরীক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়। কেউ ফেল করা থেকে জিপিএ ফাইভ-ও পেয়ে থাকেন।
গত ৩১ মে ভিডিও কনফারেন্সে মাধ্যমে এসএসসি ও সমমানে পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় যুক্ত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। পরে শিক্ষামন্ত্রী ফলের বিস্তারিত বিশ্লেষণ সংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।
২০২০ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাস করেছে ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ শিক্ষার্থী। গতবার এই পাসের হার ছিল ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ। চলতি বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার বেড়েছে। ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮ শিক্ষার্থী চলতি বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৫ হাজার ৫৯৪ জন। গতবারের তুলনায় এবছর পাস ও জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। বাড়েনি শুধু প্রকৃত মেধার মান। এদের অনেকেই জানেনা জিপিএ-৫ এর অর্থ। মূল্যায়ন হচ্ছে না প্রকৃত মেধার।