ওবায়দুর রহমান রুহেল- ডোনেগাল প্রতিনিধিঃ কভিড-১৯ মহামারীর কারণে চাকুরিচ্যুত এসাইল্যাম সিকার যারা ডাইরেক্ট প্রভিশনে আছেন তাদেরকে সাপ্তাহিক ৩৫০ ইউরো ভাতার আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা নাকোচ করে দেন সোশ্যাল প্রটেকশন ও এমপ্লয়মেন্ট মন্ত্রী রেজিনা ডহার্টি। অভিবাসন প্রত্যাশীদের নিয়ে কাজ করে এরকম ৪০টি বেসরকারি সংস্থা ও বিভিন্ন আইনজীবী, শিক্ষাবিদরা সরকারের সোশ্যাল প্রটেকশন ও এমপ্লয়মেন্ট মন্ত্রী রেজিনা ডহার্টি কাছে আবেদন করেছিলেন যেন মানবিক খাতিরে এসাইল্যাম সিকাদেকে চলমান সাপ্তাহিক ভাতার সাথে আরও ২০ ইউরো বাড়িয়ে দেয়া হয়।মিসেস রেজিনা সেই আবেদনটি প্রত্যাখ্যান করে দেন। অভিবাসীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা এই দলটি সরকারের এহেন আচরণে হতাশা প্রকাশ করেছেন।তাঁরা মনে করেন নিজেদের নিরাপত্তার জন্য দেশত্যাগী হয়ে যারা এই দেশে আশ্রয় নিয়েছেন তাদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে।কভিড-১৯ মহামারীর কারণে তাদের জীবন সবচেয়ে বেশী ঝুঁকিতে আছে। দেশের এই সংকটকালীন মুহূর্তে বহু এসাইল্যাম সিকারের স্বাভাবিক (অভিবাসন প্রত্যাসী)জীবন যাপনের ব্যয়ভার বৃদ্ধি পেয়েছে, আগে যেখানে বাচ্চারা স্কুলে থাকত এখন বাসায় থাকায় তাদের পেছনে খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে,পরিছন্নতা উপকরণ, খাবার,ঔষধ অতিরিক্ত ব্যয়ের তালিকায় যুক্ত হয়েছে। বহু এসাইল্যাম সিকার পাবলিক লাইব্রেরীতে গিয়ে ফ্রী ওয়াইফাই সুবিধা নিতেন এখন সবকিছু বন্ধ থাকায় বাসায় মোবাইলে অতিরিক্ত ডাটা ক্রয় করতে হচ্ছে,সরকারের স্বাস্থ্যনীতিমালা জানা ও অনুসরণ করার জন্যও ইন্টারনেটে প্রবেশ করতে হচ্ছে।সোশ্যাল প্রটেকশন ও এমপ্লয়মেন্ট মন্ত্রীকে লিখা চিঠিতে উপরোক্ত তথ্যে আলোকপাত করার অনুরোধ করা হয় পাশাপাশি কভিড-১৯ মহামারী ভাতার জন্য এসাইল্যাম সিকারদের বিবেচনা করার কথা বলা হয়। উল্লেখ্য বর্তমানে ডাইরেক্ট প্রভিশনে থাকা একজন প্রাপ্তবয়স্ক এসাইল্যাম সিকার সপ্তাহে € ৩৮.৮০ পেয়ে থাকেন যা মাস শেষে দাঁড়ায় € ১৫৫.২০। অনূর্ধ্ব ১৮ বছরের অপ্রাপ্ত বয়স্করা সাপ্তাহে € ২৯.৮০ পেয়ে থাকেন। গত ১৫ই মে আইরিশ টাইমে আবেদনটি ছাপানো হয় সোশ্যাল প্রটেকশন ও এমপ্লয়মেন্ট মন্ত্রী এই আবেদনের প্রতি উত্তরে গতকাল কোন সম্ভাবনার বাণীই শোনাতে পারেনি বরং সবকিছু নাকোচ করে দিয়েছেন।
সূত্র আইরিশ টাইম।