আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাস মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ায় ভয়াবহ এক আতঙ্কে গোটা বিশ্ব থমকে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে সারাদেশকে। সামাজিক দূরত্ব না মানায় জুন পর্যন্ত এর প্রভাব বিস্তার করবে এমনটা জানিয়েছেন অনেক চিকিৎসক। এর প্রভাব ঠেকাতে ও এর মোকাবেলায় বিভিন্ন দেশ লকডাউন করা হয়েছে। বাংলাদেশেও চলছে সরকারের দেয়া লকডাউন, সাধারণ ছুটি ঘোষনা করা হয়েছে আবার ৮ই জুলাই পর্যন্ত। এ ছুটি আরো বাড়বে এমনটা ভাবাই স্বাভাবিক । তবে নিত্য প্রয়োজনীয় দোকানপাট ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করছে। তাও সীমিত সময়ের জন্য। বলতে গেলে প্রায় সব কিছুই বন্ধ। কর্মহীন হয়ে ঘরবন্দি রয়েছে মানুষ। অর্থনীতি গতিশীলের চাকা থমকে গেছে। কাজ নেই, রোজগার নেই, নেই অন্য কোনো উপায়ে অর্থ আয়ের সুযোগ ।
দিন যত যাচ্ছে করোনা পরিস্থিতি ততই ভয়াবহ আকার ধারন করছে। বাংলাদেশে তুলনামূলকভাবে করোনার চিত্র কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও যেকোন সময় মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। ইতিমধ্যে সুস্থ্যতার চেয়ে কোনো কোনো দিন বেড়ে চলেছে মৃত্যুর হার। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে নিত্যপণ্য ও ঔষধের দোকান ছাড়া সকল দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গণপরিবহন বন্ধ এবং মানুষ ঘরে বন্দি থাকার কারণে চরম বিপাকে পড়েছে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। একদিকে করোনা আক্রান্তের ভয় অপরদিকে কর্মহীন থাকার কারণে না খেয়ে মরার ভয় দু’য়ে মিলে উভয় সংকটে আছে মানুষ। উচ্চবিত্তদের কোন অসুবিধা না হলেও নিন্মবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা পড়েছে বিপাকে। দুটানা হতাশার মধ্যে প্রতিটা দিন কাটছে তাদের। তাঁরা টেনেটুনে দিন পার করছে। তারপর কি উপায় হবে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার দুঃচিন্তা অন্যদিকে পেটের ক্ষুধা ও পরিবারের অন্য চাহিদা পূরন করতে হবে, সেই ভাবনা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। প্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ বলেছেন, ‘মধ্যবিত্ত হয়ে জন্মানোর চেয়ে ফকির হয়ে জন্মানো ভালো। কারন ফকিরদের অভিনয় করতে হয়না আর মধ্যবিত্তদের প্রতিনিয়ত সুখে থাকার অভিনয় করতে হয়। মধ্যবিত্তরা না পারেন উপরে উঠতে না পারেন নিচে নামতে।’ সাম্প্রতিক সময়ে কথাটা যেন প্রত্যেক মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য সত্য হয়ে উঠেছে।