![](https://irishbanglapost.com/wp-content/uploads/2020/09/Nagm.jpg)
আইরিশ বাংলাপোষ্ট অনলাইন ডেস্কঃ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করা ১৩তম অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তার মৃত্যুর একদিনের মধ্যেই দেশের সর্বোচ্চ আদালতে চলছে নানা গুঞ্জন, কে হচ্ছেন দেশের ১৪তম অ্যাটর্নি জেনারেল। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক এই পদে সরকার কাকে নিয়োগ দেবে তা নিয়ে আদালত পাড়াই চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, করোনায় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম মারা যাওয়ায় এ পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার জন্য সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে জোর লবিং চালাচ্ছেন আইনজীবীরা। এরইমধ্যে কয়েকজনের নাম খুব জোরেশোরেই শোনা যাচ্ছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন তিন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল- মুরাদ রেজা, মো. মমতাজ উদ্দিন ফকির, এস এম মুনির। এছাড়া আওয়ামী লীগপন্থী প্রভাবশালী কয়েক জন আইনজীবীর নামও শোনা যাচ্ছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন, সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমানের নামও শোনা যাচ্ছে।
অ্যাটর্নি জেনারেল হলো একটি সাংবিধানিক পদ। অ্যাটর্নি জেনারেল সরকারকে সংবিধান, সাধারণ আইন, আন্তর্জাতিক চুক্তি এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইনগত পরামর্শ দেন। সরকারের পে আদালতে উপস্থিত থাকেন। সংবিধানের ৬৪ অনুচ্ছেদ অনুসারে, রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হন অ্যাটর্নি জেনারেল।
সংবিধানের ৬৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হওয়ার যোগ্য কোনো ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ দান করবেন। উপ-অনুচ্ছেদ ৪-এ বলা হয়েছে, তিনি রাষ্ট্রপতির সন্তোষ অনুযায়ী স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন।
এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে দীর্ঘদিন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাবেক এক আইন কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে মুরাদ রেজা, মোমতাজ উদ্দিন ফকির এবং এস এম মুনীর দায়িত্ব পালন করছেন। এদের মধ্যে সিনিয়রিটির দিক দিয়ে এগিয়ে আছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। অ্যাটর্নি জেনারেল নিয়োগ করার আগ পর্যন্ত তিনিই ভারপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করবেন এটা মোটামুটি নিশ্চিত।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার দায়িত্বগ্রহণের এক সপ্তাহ পর অ্যাটর্নি জেনারেল পদে পরিবর্তন আসে। বিদায় নেন জরুরি অবস্থার সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া অ্যাটর্নি জেনারেল সালাহউদ্দিন আহমেদ। তার স্থলে ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি নিয়োগ পান সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম।