আইরিশ বাংলাপোষ্ট অনলাইন ডেস্কঃ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত জন কেরি কয়েক ঘণ্টার সফরে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। সাড়ে ১১ টার দিকে দিল্লি থেকে মার্কিন বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ উড়োজাহাজে জন কেরি ঢাকায় পৌঁছান। পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান। দুপুর দেড়টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। সেখানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দীনের সঙ্গেও বৈঠক হতে পারে। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে দেখা করতে যাবেন জন কেরি। ওই সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর হাতে জো বাইডেনের দেওয়া লিডার্স সামিট অন ক্লাইমেটের নিমন্ত্রণপত্র তুলে দেবেন।মূলত, ওয়াশিংটন আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল ক্লাইমেট সামিটে মার্কিন প্রেসিডেন্টের তরফে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশগ্রহণ বিষয়ক আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করতে এসেছেন তিনি। চারদিনের সফরে গত মঙ্গলবার দিল্লি আসেন জন কেরি।
ভারত সফর শেষে তিনি বাংলাদেশে এলেন। তার ঢাকা সফরটি সংক্ষিপ্ত হলেও বিদ্যমান বিশ্বপরিস্থিতি বিবেচনায় তা যে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ তা মানছেন সবাই। কূটনীতিকরা বলছেন, ২০ শে জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে পালাবদলের পর বাইডেন প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের ওই প্রতিনিধির বাংলাদেশ সফর নিশ্চিতভাবে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিশেষত ক্লাইমেট ডিপ্লোমেসির মঞ্চে ফেরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ক্লাইমেট ভালনারেবল বাংলাদেশের বোঝাপড়ায় নতুন মাত্রা যুক্ত করবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর জো বাইডেন গত ২৭ জানুয়ারি ঘোষণা দিয়েছিলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে তিনি একটি শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করবেন। ২২ ও ২৩ এপ্রিল ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠেয় এই শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাড়াও রাশিয়া, চীন, জাপান, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, ভারতসহ ৪০টি দেশের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ঢাকার কূটনীতিকরা বলছেন, জন কেরির সংক্ষিপ্ত সফরের ফোকাস জলবায়ু পরিবর্তন হলেও রোহিঙ্গা সঙ্কটসহ আঞ্চলিক ও বিশ্ব রাজনীতির সম-সাময়িক ইস্যু নিয়ে কমবেশি আলোচনা হবে। বাংলাদেশে দক্ষিণ এশীয় জলবায়ু অভিযোজন কেন্দ্রের অর্থায়নে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার বিষয়টি তুলবে ঢাকা। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে ১০০ বিলিয়ন ডলারের যে তহবিল গঠনের অঙ্গীকার করেছে, বাংলাদেশ সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্তি চাইবে। বাংলাদেশ সরকারের গড়া জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হতে পারে।