জুমার দিন নারীদের জোহরের নামাজ আদায়ের সময়

আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ মুসলিম উম্মাহর কাছে সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন হচ্ছে জুমাবার বা জুমার দিন অর্থাৎ শুক্রবার। ইসলামে এ দিনটির মর্যাদা ও তাৎপর্য অনেক। ফজিলতের কারণে জুমার দিনকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলা হয়ে থাকে।

জুমার দিন জুমার নামাজ আদায় করা হয়। মানুষের আগমন ও জুমার আলোচনা এবং খুতবাসহ সব আনুসাঙ্গিকতা মিলিয়ে অন্য দিনের তুলনায় এ নামাজ কিছুটা বিলম্ব হয়। ফলে জুমার নামাজ আদায়ে খানিক সময় লাগে।

এখন প্রশ্ন হলো- নারীরাও কি বিষয়টি লক্ষ্য রেখে দেরিতে জোহরের নামাজ আদায় করবে? নাকি জোহরের ওয়াক্ত হলে নামাজ আদায় করে নিতে পারবে? কোনো কোনো মুরব্বিকে বলতে শোনা যায়- পুরুষদের আগে নারীরা নামাজ আদায় করবে না, কথাটি কি ঠিক?

এ প্রশ্নের উত্তর হলো- নামাজের সময় হওয়ার পর বিনা প্রয়োজনে বিলম্ব করা নারী ও পুরুষ কারো জন্য উচিত নয়। বিশেষত যখন নামাজের মুস্তাহাব ওয়াক্ত হয়ে যায়। তাই নারী-পুরুষ উভয় শ্রেণি নামাজের মুস্তাহাব ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নামাজ আদায় করবে।

আর পুরুষের নামাজের সঙ্গে নারীদের নামাজের এমন কোনো সম্পর্ক নেই যে পুরুষ যে সময়ে নামাজ পড়ে সে সময়েই তাদের নামাজ আদায় করতে হবে বা পুরুষ নামাজ আদায় করার পর তারা নামাজ আদায় করবে।

সুতরাং শুক্রবারও নারীরা জোহরের নামাজের মুস্তাহাব সময় হওয়ার পর নামাজ আদায় করতে পারবেন। চাই মসজিদে জুমার জামাত হোক বা না হোক। শুক্রবার জোহরসহ যেকোনো দিন যেকোনো ওয়াক্তের নামাজ নারীরাও মুস্তাহাব সময় দেখে আদায় করবে। পুরুষদের ঘরে ফেরার অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই। (আল-বাহরুর রায়িক ও কানজুদ দায়িক)

উল্লেখ্য, জুমার নামাজে অংশগ্রহণ নারীদের জন্য আবশ্যক নয়। হাদিসের দিকনির্দেশনায় নারীদের জুমা থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। তবে নারীদের জন্য জুমার নামাজ পড়া নিষেধ নয়।

যদি নারীরা জুমার নামাজে অংশগ্রহণ করে তবে নারীরা জুমার নামাজের জন্য অপেক্ষা করবেন এবং ইমামের সঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করবে।

নারীরা যদি জুমার নামাজে অংশগ্রহণ করে তবে তাদের আর জোহর নামাজ আদায় করতে হবে না। জুমার নামাজ আদায়ে তাদের জোহর আদায় হয়ে যাবে।

SHARE THIS ARTICLE