আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল হাজারীর আপন ছোট ভাই মুক্তিযোদ্ধা কামাল হাজারী মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন। ইন্না নিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাহে রাজিউন। তিনি দীর্ঘ চার বছর ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত ছিলেন। মাঝে মধ্যে তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেয়া হলেও সে কিছুতেই ঢাকায় থাকতে চাইতো না। ঢাকায় সে তার বড় মেয়ে নারগিসের বাসায় থাকতো। মৃত্যুকালেও সে তার ছেলেদের সঙ্গে ফেনীতেই ছিলেন এবং সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন। তিনি পাকিস্তান আমল থেকেই স্বর্ণের ব্যবসা করতেন। পিতা আব্দুল গনি হাজারী তাকে এই ব্যবসায় নিয়োজিত করেন। কামাল হাজারী ফেনী জেলা স্বর্ণ ব্যবসায় সমিতির সভাপতি ছিলেন প্রায় ১০ বছর।
এই সময়কালে অত্যন্ত নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। কামাল হাজারী সরাসরি রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন না। তবে বড় ভাই জয়নাল হাজারীর রাজনীতিকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যা কিছু করনীয় সব কিছুই করেছেন। সরাসরি রাজনীতিতে জড়িত না থাকলেও শুধু মাত্র জয়নাল হাজারীর ভাই হওয়ার কারণে তাকে অনেকবার কারাবরণ করতে হয়েছে।
জয়নাল হাজারীর ক্ষমতার আমলেও কামাল হাজারী কোনদিন কারও সঙ্গে ক্ষমতার দাপট দেখাননি। জয়নাল হাজারী সকলের কাছে তার জন্য দোয়া চেয়েছেন এবং যদি কারও মনে তিনি কোনদিন কোনভাবে কষ্ট দিয়ে থাকেন তার জন্য তাকে ক্ষমা করে দেয়ার জন্য আন্তরিক অনুরোধ করেছেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও তিনপুত্র এবং দুই কন্যাসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
বুধবার (১০ জুন) বাদ জোহর ফেনী শহরের মাষ্টারপাড়ার নামাজে জানাজায় অংশ নিয়ো বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্মৃতিচারণ করেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন ফেনী পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন হাজারী মিয়া, সাবেক কাউন্সিলর মোসলেহ উদ্দিন হাজারী বাদল, মরহুমের ছেলে সাবেক কমিশনার টিটু হাজারী। হাজারীপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মিজানুর রহমান ইমামতি করেন।
জানাজায় পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, জেলা কৃষকলীগ সাধারণ সম্পাদক আশ্রাফুল আলম গীটার, জেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক এম. আজহারুল হক আরজু, পৌরসভার কাউন্সিলর লুৎফুর রহমান খোকন হাজারী, শহর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পারভেজুল ইসলাম হাজারী, জুয়েলার্স সমিতির সাধারন সম্পাদক কাজী আরিফুল হোসেন রুবেল প্রমুখ জানাযায় অংশ নেন। এর আগে পুলিশের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন ফেনী পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন হাজারী মিয়া, সাবেক কাউন্সিলর মোসলেহ উদ্দিন হাজারী বাদল, মরহুমের ছেলে সাবেক কমিশনার টিটু হাজারী। হাজারীপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মিজানুর রহমান ইমামতি করেন।
জানাজায় পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, জেলা কৃষকলীগ সাধারণ সম্পাদক আশ্রাফুল আলম গীটার, জেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক এম. আজহারুল হক আরজু, পৌরসভার কাউন্সিলর লুৎফুর রহমান খোকন হাজারী, শহর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পারভেজুল ইসলাম হাজারী, জুয়েলার্স সমিতির সাধারন সম্পাদক কাজী আরিফুল হোসেন রুবেল প্রমুখ জানাযায় অংশ নেন। এর আগে পুলিশের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
শেষে পারিবারিক কবরস্থানে কামাল হাজারীকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। তিনি মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে শহরের মাষ্টার নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে, দুই মেয়ে সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি শহরের বড় বাজারের খাজা আহম্মদ সড়কের কামাল হাজারী মার্কেটের মালিক। শিরীন জুযেলার্স নামে স্বর্ণ ব্যবসা করতেন। ২৫ বছর ধরে জুয়েলার্স সমিতির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
পরিবার সূত্র জানায়, তারা চার ভাই ও চার বোন ছিলেন। ভাইদের মধ্যে কামাল হাজারী ছিলেন তৃতীয়। এক ভাই ইলিয়াস হাজারী অনেক আগেই মারা গেছেন। বড় ভাই জয়নাল হাজারী ঢাকায় রাজনীতি ও একটি পত্রিকার সম্পাদনা করছেন। মেঝ ভাই সাহাব উদ্দিন হাজারী চট্টগ্রামে স্বপরিবারে বসবাস করেন। চার বোনের মধ্যে বিলকিছ হাজারী মারা গেছেনন। অপর তিন বোন খোদেজা হাজারী, পারুল হাজারী ও খোরশেদা হাজারী ফেনীতেই রয়েছেন।
এদিকে আওয়ামীলীগ উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য জায়নাল হাজারীর ভাই কামাল হাজারীর মৃত্যুতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যরিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে প্রেরিত এক শোকবার্তায় জানানো হয়, ওবায়দুল কাদের মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।