তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

আইরিশ বাংলাপোষ্ট অনলাইন ডেস্কঃপূর্ব ভূমধ্যসাগর ইস্যুতে তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।  পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তুরস্কের জ্বালানি অনুসন্ধানকে কেন্দ্র করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুই সদস্য দেশ গ্রিস ও সাইপ্রাসের সঙ্গে আঙ্কারার বিবাদের জেরে এমন হুমকি দেয় ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)। তাই গতকাল শুক্রবার তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে ইইউ। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

তুরস্ক যদি পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান থেকে সরে না আসে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতেও পিছপা হবে না ইইউ। এমনটাই জানিয়েছেন ইইউ’র শীর্ষ কূটনৈতিক কর্মকর্তা জোসেফ বোরেল। 

তিনি এ বিষয়ে তুরস্কের সঙ্গে আলাপ-আলোচনারও আহ্বান জানিয়েছেন। যদি সুরাহা না হয় তাহলে সদস্য দেশ হিসেবে তারা গ্রিস ও সাইপ্রাসকে সহায়তা দেবে।

বহু বছর ধরেই তুরস্ক ও গ্রিসের মধ্যে নানামুখী দ্বন্দ্ব বিরাজমান। সেগুলোকে আবার উস্কে দিচ্ছে পূর্ব ভূমধ্যসাগরের একটি এলাকায় তুরস্কের গ্যাস ড্রিলিংয়ের জন্য জরিপ করার সিদ্ধান্ত।

গ্রিসের এতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কি আছে? মূলত যে এলাকায় তুরস্ক জরিপ চালাতে চাচ্ছে সেটি সাইপ্রাসের নিকটবর্তী। সেটা গ্রিসের একটি দ্বীপেরও নিকটবর্তী। এই কাজটি যেন তুরস্ক না করে সে বিষয়ে জুলাই মাসে ইউরোশিয়ান দেশটিকে সতর্ক করেছিল ইইউ। এবার নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিলো। 

বার্লিনে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের সভায় বোরেল বলেন- আমরা সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে তুরস্কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারি। কারণ, তুরস্কের অর্থনীতি ইউরোপিয়ান অর্থনীতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। যেসব কাজ অবৈধ সেগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান নিতেই হবে।

এ বিষয়ে গ্রীসের পক্ষে তিনি ইউরোপের অন্যান্য দেশের সহায়তা চেয়েছেন। 

যদিও বোরেল যেসব কারণ উল্লেখ করে তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন সেগুলোকে ভিত্তিহীন বলেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি এটাকে ইইউর এখতিয়ারের বাইরের বিষয় বলে উল্লেখ করেছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র হামি আকসয় বলেছেন- তুরস্কের নিজস্ব মহাদেশীয় এলাকায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের কার্যক্রমের সমালোচনা করার বিষয়টি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের এখতিয়ারের বাইরে। তাছাড়া গ্রীস দ্বীপবহুল কোনো রাষ্ট্র নয় যে তাদের মহাদেশীয় শেলফ বিস্তৃত হবে। তাছাড়া আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ীও গ্রিসের মহাদেশীয় শেলফ দাবি করাটা অবৈধ।

এক্ষেত্রে আনঙ্কারার পক্ষ থেকে ইইউকে আহ্বান জানানো হয়েছে গ্রিসকে সমর্থন কিংবা সহায়তা না দেয়ার।

SHARE THIS ARTICLE