আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃআসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহের জন্য দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার।
ট্যানারি ব্যবসায়ীরা এবার ঢাকায় লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া কিনবেন ৩৫-৪০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ২৮-৩২ টাকা।
৩৫ থেকে ৪০ টাকায় এবং ঢাকার বাইরে এর দাম হবে ২৮ থেকে ৩২ টাকা।
এছাড়া সারা দেশে খাসির চামড়া ১৩-১৫ টাকা এবং বকরির চামড়া ১০-১২ টাকায় সংগ্রহ করবেন ব্যবসায়ীরা।
বোরবার কোরবানির পশুর কাচা চামড়ার মূল্য নির্ধারণ বিষয়ে এক ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
গত বছর ট্যানারিগুলোর কেনার জন্য ঢাকায় গরুর কাঁচা চামড়া প্রতি বর্গফুট ৪৫-৫০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৩৫-৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
আর খাসির কাঁচা চামড়া সারাদেশে ১৮-২০ এবং বকরির চামড়া ১৩-১৫ টাকা দর ঠিক করে দিয়েছিল সরকার।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা কেমন হতে পারে, তার সঙ্গে বর্তমান মজুদ বিবেচনা করে এবারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, যারা বিক্রি করবেন বা ক্রয় করবেন, সব কুল রক্ষা করে এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। সাপ্লাই চেইনে যেন মূল্য পায়, সেজন্য এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কোরবানির চামড়া সংরক্ষণের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় পর্যাপ্ত লবণ সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে। লবণ না লাগিয়ে চামড়া যেন ঢাকায় পাঠানো না হয়, সে ব্যাপারে প্রচার চালানো হয়েছে। ঢাকাসহ সারা দেশে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
‘অভ্যন্তরীণ চামড়া পরিবহনে যাতে কোথাও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয় সে জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়কে বলেছি। বর্ডার দিয়ে যাতে কোনো চামড়া পাচার না হয় সেজন্য বর্ডারে আরও নজরদারি বাড়াতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, বছরে বাংলাদেশ থেকে মোটামুটি ২২ কোটি বর্গফুট চামড়া পাওয়া যায়। এর মধ্যে ৬৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ গরুর চামড়া, ৩১ দশমিক ৮২ শতাংশ ছাগলের, ২ দশমিক ২৫ শতাংশ মহিষের এবং ১ দশমিক ২ শতাংশ ভেড়ার চামড়া।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ১ কোটির কিছু বেশি পশু কোরবানির জন্য সারাদেশে ব্যবহৃত হয়। এবার কোরবানির ঈদের জন্য সারা দেশে ১ কোটি ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০টি পশু মজুদ রয়েছে। তবে এ বছর মহামারির কারণে পশু জবাই গতবারের তুলনায় কম হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।
প্রসঙ্গত, আগামী ১ আগস্ট শনিবার সারাদেশে ঈদুল আজহা পালিত হবে।