বন্দুক যুদ্ধে দুই রোহিঙ্গা নিহত

আইরিশ বাংলাপোষ্ট অনলাইন ডেস্কঃ কক্সবাজারের টেকনাফে মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। রোববার গভীর রাতে টেকনাফের হ্নীলার ওয়াব্রাংয়ের নাফ নদীর তীরে এ ‌‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা মিয়ানমার থেকে মাদকের চালান নিয়ে নাফ নদ সাঁতরে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছিল বলে জানিয়েছে বিজিবি।
নিহতরা হলেন- উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্পের মোহাম্মদ শফিকের ছেলে মো. আলম (২৬), বালুখালী ক্যাম্পের মো. এরশাদ আলীর ছেলে মো. ইয়াছিন (২৪)। ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বিজিবি ল্যান্স নায়েক মো. আব্দুল কুদ্দুস, নায়েক মো. শাকের উদ্দিন আহত হন।
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান জানান, রোববার রাতে হ্নীলা বিওপির সংলগ্ন ওয়াব্রাংয়ের নানীরবাড়ি নামক সীমান্ত দিয়ে মাদকের চালান আসার গোপন সংবাদ পাই। এর ভিত্তিতে বিজিবির একটি দল সেখানে অবস্থান নেয়। এ সময় কয়েকজন লোককে নাফ নদ সাঁতরে বাংলাদেশের সীমান্তে ঢুকতে দেখে চ্যালেঞ্জ করলে মাদককারবারি চক্রের সদস্যরা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি করা শুরু করে। এতে বিজিবির দুই সদস্য আহত হন। বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালালে মাদককারবারি চক্রের সদস্যরা কেওরা বাগানের দিকে পালিয়ে যায়। এ সময় উভয়পক্ষে ৪-৫ মিনিট গুলিবিনিময় হয়। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি চায়না পিস্তল ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য টেকনাফ উপজেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে নেয়ার পর তাদের মৃত্যু হয়।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক খানে আলম বলেন, রাতে বিজিবি দুই রোহিঙ্গাসহ চারজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তার মধ্য দুই রোহিঙ্গার শরীরে গুলির আঘাত ছিল। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজারে রেফার্ড করা হয় এবং আহত বিজিবি সদস্যদের চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বিজিবির অধিনায়ক বলেন, দুই রোহিঙ্গার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ‌‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

SHARE THIS ARTICLE