আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দিয়েছে।শুক্রবার বিকালে শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সটিটিউটে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর বাবা দাবি করে মরদেহ নিতে আসেন শাবলুল আলম সবুজ নামের এক ব্যক্তি। তিনি রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বাসিন্দা। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায়।
অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর বাবা দাবি করা শাবলুল আলম সবুজ বলেন, অভিশ্রীতি তার ফেইক নাম। আমার মেয়ের নাম বৃষ্টি খাতুন। আমি কেন মিথ্যা বলবো। দুইদিন আগে বৃষ্টির (নিহত অভিশ্রুতির) সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। বৃষ্টি আমার তিন মেয়ের মধ্যে বড়। আমার আরো দুটি মেয়ে রয়েছে। নিজের মেয়েকে নিয়ে কেন মিথ্যা বলবো? আমাদের সঙ্গে বেশি যোগাযোগ ছিল না। শুধু জানতাম ও হিন্দুদের সঙ্গে চলাফেরা করতো।
এদিকে, শাবলুল আলম ও তার স্ত্রী বিউটি বেগম ইসলাম ধর্মের অনুসারী। কিন্তু অভিশ্রুতির জীবনবৃত্তান্ত থেকে জানা যায় তিনি একজন সনাতন ধর্মাবলম্বী এবং পিতা ও মাতার নামের সঙ্গে নেই মিল। তাই অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর মরদেহ হস্তান্তর নিয়ে সৃষ্টি করে ধোঁয়াশা।
অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর জীবনবৃত্তান্ততে দেখা গেছে, সেখানে তিনি বাবার নাম লিখেছেন অভিরূপ শাস্ত্রী এবং মায়ের নাম লিখেছেন অপর্ণা শাস্ত্রী। এবং তিনি নিজের বর্তমান ঠিকানা লিখেছেন সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, মৌচাক।
এ বিষয়ে রমনা কালি মন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা বলেন, গত আট মাস ধরে তার সঙ্গে আমাদের পরিচয়। এই আট মাসে সে আমাদের মন্দিরের সঙ্গে অনেকটাই কানেক্টেড। যে ভদ্রলোক (সবুজ) অভিশ্রুতি শাস্ত্রীকে নিজের মেয়ে বলে দাবি করছেন তিনি মিথ্যা কথা বলছেন। তার পরিবারের সবাই ভারতের বানারসে থাকেন।
এর আগে, সাক্ষাৎকারে দ্য রিপোর্টের প্রতিবেদক গোলাম রব্বানী বলেছেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের হাতে থাকা লাল সুতো (মৌলি সুতো) দেখে অভিশ্রুতিকে শনাক্ত করি। অভিশ্রুতির পরিবারের সঙ্গে এখনো যোগাযোগ করা যায়নি। কারণ আমাদের কাছে থাকা তার পরিবারের একমাত্র নম্বরটি বন্ধ রয়েছে।
গোলাম রব্বানী আরো বলেন, ইডেন মহিলা কলেজের রাজিয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন অভিশ্রুতি। আমরা তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। অভিশ্রুতি বাড়ি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায়। তিনি ইডেন মহিলা কলেজের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।
এ বিষয়ে বার্ন ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ জানায়, তাদের মর্গে এক হিন্দু নারীর মরদেহ আছে।