ওবায়দুর রহমান রুহেল- ডোনেগাল প্রতিনিধিঃ বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের করাল থাবায় মুখ থুবড়ে পড়েছে বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম।স্বাস্থ্যখাতে কর্মরত বিভিন্ন ডাক্তার, নার্স ও সেবাকর্মীরা ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতে নিরলস পরিশ্রম করে আক্রান্ত রোগীদের সেবা করে যাচ্ছেন। অনেক স্বাস্থ্যকর্মী ইতোমধ্যে কর্তব্য পালন করতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।অদৃশ্য করোনা যুদ্ধের সম্মুখ সারির সৈনিক হিসেবে সারা বিশ্বে সমাদৃত হচ্ছেন এসব স্বাস্থ্যকর্মীরা। আয়ারল্যান্ডও স্বাস্থ্যকর্মীদের বীরত্বগাঁথা অসামান্য অবদানকে স্বীকৃতি জানিয়ে আসছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের সম্মানার্থে সারা দেশে একযোগে হাত তালি দিয়ে অভিবাধন জানান।
স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাতকার মহান পেশার প্রতি সম্মান জানিয়ে ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে চিকিৎসা পেশায় নাম লিখিয়েছেন। বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠন ও রাজনৈতিক দল ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে, কেউ আবাসনের ব্যবস্থা করছেন কেউ খাবার সরবরাহ করছেন। পিছিয়ে নেই আমাদের বাংলাদেশী মালিকানাধীন বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, লেটারকিনির বাংলাদেশী মালিকানাধীন রেস্তোরাঁ চিলিশেকর,শাপলার পর এগিয়ে এসেছে বিশ্বখ্যাত ফাস্ট ফুড চেইন শপ সাবওয়ে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে লেটারকি ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের শিশু ও নবজাতক ইউনিটে ডোনেগাল বাংলাদেশী কমিউনিটির চেয়ারপার্সন বিশিষ্ট শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মুহাম্মদ রফিক উল্লাহ’র উপস্থিততে খাবার বিতরণ করা হয়।
উক্ত খাবার বিতরণ কার্যক্রমের মহতি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবওয়ের সত্ত্বাধিকারী আয়ারল্যান্ড বাংলাদেশী কমিউনিটির প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী জনাব মাজহারুল হক ঝিনুক।জনাব মাজহারুল হক বলেন ” সামাজিক দায়বদ্ধতা (কর্পোরেট রেসপোনসিবলিটি) বলে একটা কথা আছে, সারা বছর স্থানীয় কমিউনিটিতে ব্যবসা করবেন আর কমিউনিটির দুঃসময়ে তাদের পাশে দাঁড়াবেন না তাতো হবেনা। আজকে সাবওয়ের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য খাবার সরবরাহ করতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি।ডোনেগাল বাংলাদেশী কমিউনিটির একজন ব্যবসায়ী হিসেবে কমিউনিটির পক্ষ থেকে ভালো কাজে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আনন্দ অনুভব করছি। সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা বিবেচনা করে আমাদের সবার উচিত নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশে এসে দাঁড়ানো”। ডোনেগাল বাংলাদেশী কমিউনিটির চেয়ারপার্সন ডাঃমুহাম্মদ রফিক উল্লাহ বলে ” ডোনেগালের বাংলাদেশী ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ তাদের এই সকল সেবামূলক মহৎ কার্যক্রমের মাধ্যমে স্থানীয় কমিউনিটিতে বাংলাদেশীদের মুখ উজ্জ্বল করছেন। ডোনেগালের জীবন ব্যবস্থায় বাংলাদেশী কমিউনিটির যে সহযোগিতামূলক অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক গড়ে উঠেছে এসব কার্যক্রম নিঃসন্দেহে এই সম্পর্ককে আরো মজবুত ও ঠেকসই করবে”।