আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি ও পুরস্কার লাভের আশায় নির্ধারিত দিনে মুসলিম নারী ও পুরুষের পশু জবাই করা হলো- কোরবানি। শুধু আত্মত্যাগই নয় বরং মহান রবের সঙ্গে বান্দার ভালোবাসার অনন্য এক নিদর্শনও কোরবানি।
প্রত্যেক সামর্থ্যবান ব্যক্তির ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। জিলহজ মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে যার নিত্য প্রয়োজনীয় খরচ ছাড়া অতিরিক্ত সাড়ে ৭ তোলা স্বর্ণ বা এর সমমূল্যের সম্পদ থাকে, তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব।
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনুল কারিমে বলেন, ‘নিশ্চয় আমি তোমাকে কাওসার দান করেছি। সুতরাং তোমার রবের উদ্দেশে সালাত আদায় করো ও কোরবানি করো। নিশ্চয় তোমার প্রতি শত্রুতা পোষণকারীই নির্বংশ’। (সূরা: কাওসার, আয়াদ ১-৩)
আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যার কোরবানি করার সামর্থ্য রয়েছে কিন্তু কোরবানি করে না সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে। (সুনানে ইবনে মাজা: ৩১২৩)
যেসব পশু দিয়ে কোরবানি করতে হয়
৬ ধরনের গবাদি পশু দিয়ে কোরবানি করা যায়। এগুলো হলো- ছাগল, ভেড়া, দুম্বা, গরু, মহিষ এবং উট। হালাল সব পশু দিয়েই কোরবানি করা যায় না। যেমন হরিণ খাওয়া হালাল হলেও তা দিয়ে কোরবানি করা বৈধ নয়।
কোরবানির ক্ষেত্রে কোন পশুর কত বয়স জরুরি
কোরবানি করার ক্ষেত্রে পশুর নির্দিষ্ট বয়স হতে হয়। যেকোনো বয়সের পশু দিয়ে কোরবানি করা শুদ্ধ হবে না। যেমন ছাগল, ভেড়া এবং দুম্বা কোরবানি করা ক্ষেত্রে তাদের কমপক্ষে ১ বছরের হতে হবে। ভেড়া ও দুম্বা যদি ১ বছরের কম হয়, কিন্তু দেখতে ১ বছরের মতো মনে হয় তাহলে তা দিয়ে কোরবানি করা বৈধ। এ ক্ষেত্রে ভেড়া ও দুম্বার বয়স কমপক্ষে ৬ মাস হতে হবে।
এ ছাড়া কোরবানির জন্য উটের বয়স কমপক্ষে ৫ বছর হতে হবে। গরু ও মহিষ কমপক্ষে ২ বছরের হতে হবে।