
আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ রজব মাস একটি সম্মানিত মাস। এই মাসে অন্যান্য সম্মানিত মাসের মতো আল্লাহতায়ালার বিধানাবলিকে সম্মান প্রদর্শন ও তার নির্ধারণ করা সীমারেখা লঙ্ঘন না করা ওয়াজিব। আল্লাহর কাছে এই মাসগুলোর বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয় আসমানসমূহ ও জমিনের সৃষ্টির দিন থেকেই আল্লাহর বিধানে আল্লাহর কাছে গণনায় মাস বারোটি, তার মধ্যে চারটি নিষিদ্ধ মাস, এটাই প্রতিষ্ঠিত দ্বীন। কাজেই এর মধ্যে তোমরা নিজেদের প্রতি জুলুম করো না।’ সুরা আত তওবা : ৩৬
এই মাসে বিশেষ কোনো ইবাদত প্রমাণিত নয়। সুতরাং সুন্নতের অনুসরণ করা ও বিদআত থেকে বিরত থাকা ওয়াজিব। ইবনে হাজার (রহ.) বলেন, ‘রজব মাসে অনেক বড় ঘটনার বর্ণনা এসেছে, তবে তার কোনোটিই বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত নয়। এমনকি তিনি বলেন, রজব মাসের প্রথম জুমার ‘সালাতুর রাগায়েব’-এর ব্যাপারে বর্ণিত সব হাদিস মিথ্যা ও বাতিল। হজরত আয়েশা (রা.) হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর রজব মাসে ওমরাহ করার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। ইসলামের বিধানে রজব মাস অন্যান্য মাসের মতোই। অনুরূপভাবে রজব মাসে রোজার ফজিলতের ব্যাপারে নবী করিম (সা.) ও সাহাবিদের থেকে কোনো সহিহ হাদিস পাওয়া যায় না। হাফেজ ইবনে রজব, ইমাম নববি, ইবনে তাইমিয়া ও অন্য আলেমরাও অনুরূপ মতামত দিয়েছেন।
এ মাসে একটি বিদআত হচ্ছেমেরাজের রাত উদযাপন। এই রাত নির্দিষ্ট করার ব্যাপারে কোনো গ্রহণযোগ্য দলিল নেই। আর যদি রাতটি নির্দিষ্ট করাও হয় তবুও তা উদযাপন কিংবা তাতে বিশেষ কোনো ইবাদত করার শরয়ি ভিত্তি নেই। যেমনটি অসংখ্য উলামা বর্ণনা করেছেন। সুতরাং দলিলভিত্তিক প্রমাণিত ইবাদত পালন ও বিদআত বর্জনের মাধ্যমে আমাদের আল্লাহতায়ালার নৈকট্য অর্জন করতে হবে। কেননা রাসুলের সুন্নত অনুযায়ী আমল করাই উভয় জগতের সফলতা ও সৌভাগ্যের পথ।