রাঙ্গাকে সরিয়ে জাতীয়পার্টির নতুন মহাসচিব বাবলু

আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ প্রায় আড়াই বছর পর জাতীয় পার্টির মহাসচিব পদ থেকে মসিউর রহমান রাঙ্গাকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় দলটির চিফ প্যাট্রন রওশন এরশাদসহ সিনিয়র নেতাদের সম্মতি রয়েছে। একইসঙ্গে এই পরিবর্তনের পেছনে রাঙ্গার সাংগঠনিক উদ্যোগহীনতা, এরশাদ পরিবারের একাধিক সদস্য ও চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সঙ্গে দূরত্ব ইত্যাদি প্রভাব রেখেছে বলে মনে করেন জাপার সিনিয়র কয়েকজন নেতা।

গত রবিবার হঠাৎ করেই মহাসচিব পদ থেকে মসিউর রহমান রাঙ্গাকে সরিয়ে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে পদায়ন করেন জিএম কাদের। গঠনতন্ত্রের ২০-এর ১(ক) ধারার ক্ষমতা বলে তিনি এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন বলে দলীয় প্রচার বিভাগ থেকে জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের এক সাংগঠনিক আদেশে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।

মসিউর রহমান রাঙ্গা মহাসচিব পদে থাকাকালীন সাংগঠনিক কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করেননি বলে জানান রাঙ্গার ঘনিষ্ঠ প্রেসিডিয়ামের আরেক সদস্য। জাতীয় সংসদের নির্বাচিত এই সদস্য বলেন, আমার সঙ্গে মসিউর রহমান রাঙ্গা ভাইয়ের সম্পর্ক খুব ভালো। ফলে আমি প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে পারছি না। এটুকু বলতে পারি, তিনি সংগঠন গোছানোর মতো কোনও কাজ করেননি। জেলা পর্যায়ের কোনও বৈঠক করেননি। এতে সিনিয়রদের দায় থাকলেও মহাসচিব হিসেবে এটা তিনি এড়িয়ে যেতে পারেন না।

প্রেসিডিয়ামের এই সদস্য আরও বলেন, রংপুরে সাদ এরশাদ ও আসিফ শাহরিয়ারকে কেন্দ্র করেও রাঙ্গার সঙ্গে সমস্যা ছিল। তাদের সঙ্গেও দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি গত ২০ জুলাই এরশাদের ভাতিজা আসিফ শাহরিয়ারকে কেন দলে ফেরানো হলো— এ নিয়ে জিএম কাদেরের সঙ্গেও রাঙ্গার বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান এই নেতা।

উল্লেখ্য, এক সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব ছিলেন জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। স্ত্রী ফরিদা সরকারের মৃত্যুর পর জাপার প্রয়াত চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের ভাগনি মেহেজেবুননেছা রহমান টুম্পাকে ২০১৭ সালের ২১ এপ্রিল বিয়ে করেন বাবলু। এরশাদের উদ্যোগেই এ বিয়ে হয় বলে জানা যায়।

জিয়াউদ্দিন বাবলুর স্ত্রী ফরিদা সরকার ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২০০৫ সালে মারা যান।

SHARE THIS ARTICLE