আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ টনসিলের যন্ত্রণায় ছোট-বড় উভয়ই ভুগে থাকেন। এই সমস্যা হলে গলায় ব্যথা হয়। এমনকি ঢোক গিলতেও খুব কষ্ট হয়। আর এই ব্যথার কারণে খাবার খাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। মূলত টনসিলে সংক্রমণের কারণেই এই ব্যথা হয়ে থাকে।
জিহ্বার পেছনে ও গলার দুই পাশে গোলাকার পিণ্ডের মতো যা দেখা যায় তা হলো টনসিল। টনসিল দেখতে মাংসপিণ্ডের মতো মনে হলেও এটি মূলত এক ধরনের টিস্যু বা কোষ। টনসিল মুখ, গলা, নাক কিংবা সাইনাস হয়ে রোগজীবাণু অন্ত্রে বা পেটে ঢুকতে বাধা দিয়ে থাকে। ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে টনসিলের ব্যথা হয়ে থাকে। সর্দি-কাশির জন্য দায়ী ভাইরাসগুলো টনসিলের এ সংক্রমণের জন্যও দায়ী।
তবে টনসিলের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করাই শ্রেয়। এতে খুব দ্রুত আপনি এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন। চলুন জেনে নেয়া যাক টনসিল প্রতিরোধের ঘরোয়া উপায়-
লেবুর রসের জাদু
লেবু সংক্রমণ রোধে খুবই কার্যকরী। এক গ্লাস সামান্য উষ্ণ পানিতে ১ চামচ লেবুর রস, ১ চামচ মধু, আধা চামচ লবণ ভালো করে মিশিয়ে নিন। গলাব্যথা ভালো না হওয়া পর্যন্ত খেতে থাকুন। দেখবেন খুব দ্রুত ফলাফল পেয়ে যাবেন। টনসিল দূর করতে লেবু খুবই উপকারী।
সবুজ চা ও মধু
এক কাপ গরম পানিতে আধা চামচ সবুজ চা পাতা আর এক চামচ মধু দিয়ে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এবার ধীরে ধীরে চুমুক দিয়ে ওই চা পান করুন। সবুজ চায়ে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা ক্ষতিকর জীবাণুকে ধ্বংস করে। দিনে ৩ থেকে ৪ কাপ এই মধু-চা খেতে পারলে উপকার পাবেন।
হলুদ দুধ
এক কাপ গরম দুধে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন। ছাগলের দুধ টনসিলের ব্যথা দূর করতে খুব ভালো কাজ করে। কারণ ছাগলের দুধে আছে অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান। ছাগলের দুধ না পেলে গরুর দুধে হলুদ মিশিয়ে সামান্য গরম করে খেলেও উপকার পাবেন। হলুদ অ্যান্টি ইনফ্লামেন্টরি, অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ একটি উপাদান, যা গলাব্যথা ও টনসিলের সংক্রমণ দূর করে।