আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ সুদানে সেনাবাহিনী এবং আধা-সামরিক বাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘাতে প্রায় ২০০ মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ১৮০০ জন। তিনদিন ধরে চলা এই লড়াইয়ের কারণে সোমবার হাসপাতালগুলোতে ব্যাপক চাপ লক্ষ্য করা গেছে। এ অবস্থায় দেশটিতে লড়াইরত দুইপক্ষের মধ্যে অবিলম্বে অস্ত্রবিরতি চায় যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তা অস্ত্রবিরতির এই আহ্বান জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, খার্তুম এবং সুদানের অন্যান্য জায়গায় সহিংসতার জন্য আমরা দু:খ প্রকাশ করি। সুদানের সশস্ত্র বাহিনী (এসএফ) এবং র্যাপিড ফোর্সের মধ্যে কোনো রকম পূর্ব শর্ত ছাড়াই আমরা অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানাই।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র আরও বলেন, আজ পর্যন্ত সুদানের অন্তর্বর্তীকালীন গণতান্ত্রিক পথে রূপান্তরের যে অগ্রগতি হয়েছে, বিপজ্জনক এই সংঘাতের তীব্রতা তা বিপন্ন করেছে। এটা সুদানের জনগণের আশা-আকাঙ্খা খর্ব করেছে। সুদানের সাধারণ মানুষ সংঘাতের শেষ এবং গণতান্ত্রিক সুদান দেখতে চায়।
সুদানের রাজনৈতিক এই সংকটের সামরিক কোনো সমাধান নেই উল্লেখ করে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র আরও বলেছেন, কোনো শর্ত ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্র উভয়পক্ষকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পুনরায় অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানিয়ে বিবাদমান দুই পক্ষকে আলোচনায় ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন। জি-৭ এর বৈঠকে অংশ নিয়ে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘সুদানের সাধারণ জনতা চায় সেনাবাহিনী ব্যারাকে ফিরে যাক। তারা গণতন্ত্র ফিরে চায়। তারা বেসামরিক সরকার চায়। সুদানের সে পথে প্রত্যাবর্তন প্রয়োজন।’