আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পর্বতারোহী ও স্কুলশিক্ষক রেশমা নাহারকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। মাইক্রোবাসটিও জব্দ করেছে তারা। পুলিশ বলছে, চালক ও গাড়ি খুঁজে পেতে তাদের ৩৮২টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করতে হয়েছে।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানে আলম মুন্সী বলেন, আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ইব্রাহিমপুর থেকে রেশমাকে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগে নাইম (২৭) নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। তিনি পেশায় একজন চালক। তাঁর সঙ্গে মাইক্রোবাসটিও জব্দ করা হয়েছে।
৭ আগস্ট রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানের পাশে লেক রোডে বাইসাইকেল আরোহী রেশমা নাহারকে একটি মাইক্রোবাস ধাক্কা দিলে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তাঁর পরিবার মামলা করে। ঘটনার ১১ দিন পর পুলিশ রেশমাকে ধাক্কা দেওয়া গাড়ি শনাক্ত ও চালক আটকের কথা জানায়।
রেশমা নাহার রাজধানীর আইয়ুব আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। তাঁর বাড়ি নড়াইলে। ঢাকায় মিরপুরে থাকতেন। তিনি পর্বতারোহী ছিলেন এবং নিয়মিত বাইসাইকেল চালাতেন।
চালক আটক প্রসঙ্গে শেরেবাংলা নগর থানার ওসি বলেন, নাইমের বাড়ি কিশোরগঞ্জে। তিনি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন। মাইক্রোবাসটি ব্যক্তিমালিকানাধীন। একটি কোম্পানিকে সেটা ভাড়া দেওয়া হয়। নাইম ওই কোম্পানির হয়েই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। রাজধানীর ইব্রাহিমপুরের ভাড়া বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গাড়ির নম্বর ঢাকা মেট্রো চ ১৫৩৬৮৫।
রেশমা নিহতের ঘটনায় বিভিন্ন মহল থেকে চাপ ছিল জানিয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘এই ঘটনার পর থেকে আমরা উদ্বেগের মধ্যে ছিলাম। বিভিন্ন মহল থেকে চাপ ছিল। কারণ, রেশমা নাহার একজন পর্বতারোহী এবং স্কুলশিক্ষক। তাঁর মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারেনি। ৩৮২টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করতে হয়েছে। ১০ থেকে ১২টি সিসি ক্যামেরা থেকে এই গাড়ির ছবি পেয়েছি। নম্বর বের করতে আমাদের এত দিন সময় লেগেছে। কোনোভাবেই আমরা নম্বর বুঝতে পারছিলাম না। পরে নিজেরা গ্যারেজে গ্যারেজে গিয়ে নজরদারি করি। একপর্যায়ে আমরা চারটা গাড়িকে চিহ্নিত করি। যার মধ্যে একটি গণমাধ্যমের, একটি সূত্রাপুরের, একটি সাভারের এবং আরেকটি ইব্রাহিমপুরের। পরে বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত হয়েছি নাইমের চালানো গাড়িই সেই গাড়ি। পরে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন এই গাড়িই তিনি চালাচ্ছিলেন।’
অভিযুক্ত নাইম এখন থানাহাজতে আটক আছেন জানিয়ে আবুল কালাম আজাদ বলেন, আগামীকাল আদালতে তাঁর পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হবে।