মোঃ সেলিম বাংলাদেশ প্রতিনিধি. আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে ৩৪টি শিবিরে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার থেকে অত্যাচার নির্যাতনে পালিয়ে আসা ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ আশ্রয় দিলেও মিয়ানমার সরকারের নানা টালবাহানায় আশ্রিতদের ফিরে যাওয়ার প্রক্রিয়া কোনোভাবেই বাস্তবায়িত হচ্ছে না। তিন বছর আগে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া উখিয়ার কুতুপালং চার নম্বর ক্যাম্পের বাসিন্দা মো. হামিদ হোসেন বলেন, মিয়ানমার সরকার নির্যাতন করেছে বিদায় প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় গ্রহণ করি। বাংলাদেশ সরকার আশ্রয় দিয়েছে; তাই আমরা এখনও এখানে থাকতে পেরেছি। কিন্তু আমাদের নিজ দেশে যেভাবে ভালভাবে চলতে, খেতে পেরেছি; তা কিন্তু এখানে পারছি না। কুতুপালং ক্যাম্পে রোহিঙ্গা যুবক সলিমুল্লাহ বলেন, মিয়ানমার থেকে কুতুপালং এসেছি ৩ বছর হল।
কিন্তু এখনো পর্যন্ত নিজদেশ মিয়ানমারে ফিরতে পারলাম। যদি বিশ্ববাসী মিয়ানমারকে চাপ দিয়ে কোন ধরনের ব্যবস্থা করে আমাদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো ব্যবস্থা করত; তাহলে আমরা মিয়ানমারে নিজ ভিটে-মাটিতে ফিরে যেতাম। এদিকে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তৈরি হয়েছে নানা সংকট, আশংকা দেখা দিচ্ছে সংঘাতের। এরই মধ্যে উজাড় হয়েছে বন, পাহাড়, কৃষি জমি ও কাজ হারাচ্ছে স্থানীয় শ্রমিকরা। তাই দ্রুত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করার দাবি সুশীল সমাজের।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দ্রুত শুরুর লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। তিনি আরও বলেন, আমরা যাই করি না কেন আমাদের প্রধান ও মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রত্যাবাসন। এই প্রত্যাবাসন যাতে অতি শিগগিরই শুরু করা যায় এবং রোহিঙ্গাদের স্ব-সম্মানে রাখাইনে ফেরত পাঠাতে পারি এই ব্যাপারে সরকার সবর্দা সচেষ্ট আছে।