
আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই ইলিয়াস এবং সুবাহ’র কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। গত বছরের ১ ডিসেম্বর তারা ঘরোয়া আয়োজনে বিয়ে করেছিলেন। এর কয়েক দিন পর সেটা প্রকাশ্যে আনেন। কিন্তু সুখবর প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে উন্মোচিত হয় নানান বিতর্ক।
এক মাসের মাথায় তাদের দাম্পত্যে ফাটল ধরে। ইলিয়াসের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিসহ পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন সুবাহ। অন্যদিকে ইলিয়াসও সুবাহর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন। আপাতত দুজনই আদালতে লড়ছেন। সেখানেই তাদের সকল অভিযোগের সমাধান মিলবে।
চলমান এই দ্বন্দ্বের মাঝেই সামনে এলো নতুন খবর। ইলিয়াসের আগে আরো একটি বিয়ে করেছিলেন সুবাহ! ২০১৭ সালে গাইবান্ধা থানায় সুবাহর করা একটি অভিযোগপত্রের সূত্র ধরে এই বিয়ের গুঞ্জন। এ প্রসঙ্গে (১৬ মার্চ) বুধবার ইলিয়াস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছেন।
তবে সুবাহকে অনেকটা চুক্তিতেই বিয়ে করেন ইলিয়াস। আর এমনটাই দাবী করেন সুবাহ। তার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য ৩ কারণ হলো-
প্রথমত- সে অনেক দিন গানের সঙ্গে নেই, তার রোজগার বন্ধ, যে কারণে আর্থিক শংকটে ভুগছে সে। এমন পরিস্থিতিতে আমার কাছ থেকে আর্থিক সাপোর্ট নিতেই সে আমাকে বিয়ে করেছে।
দ্বিতীয়ত- ইলিয়াস টার্গেট নিয়েছে ২০২৩ সালে আওয়ামী লীগের দলীয় নমিনেশন নিয়ে এমপি ইলেকশন করবে। যে কারণে তার আর্থিক সাপোর্ট দরকার। সে মনে করেছিল নায়ক সাকিব খানের মতো প্রতি সিনেমার পারিশ্রমিক বাবদ পরিচালকরা আমাকে ৪০-৫০ লাখ টাকা দেন। সেই টাকার ভাগ বসাতেই ইলিয়াস আমাকে বিয়ে করেছে। আসলে আমার এতো টাকা নেই।
তৃতীয়ত- ইলিয়াস আমাকে ভোগ করতে বিয়ে করেছে, সে নারী লোভী। এর আগেও অনেক মেয়ের সঙ্গ নিয়ে তাদের জীবন নষ্ট করেছে।
প্রসঙ্গত, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গায়ক ইলিয়াস হোসাইনের দায়ের করা মামলায় তার স্ত্রী মডেল ও অভিনেত্রী শাহ হুমায়রা সুবাহকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। গেল সোমবার (১৪ মার্চ) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।