অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত আনতে সাইপ্রাস-বাংলাদেশ চুক্তি

আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ অবৈধভাবে আশ্রয় নেয়া অভিবাসীদের ফেরত আনতে সাইপ্রাসের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। সাইপ্রাসের পক্ষে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোস নুরিস এবং বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল অভিবাসী ফেরত নিয়ে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।  খবর ফিনান্সিয়াল মিরর।

নয়াদিল্লিতে স্বাক্ষরিত এ চুক্তিকালে উভয়ের মধ্যকার বৈঠকে দুই মন্ত্রী অভিবাসনের বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার উপায় এবং অবৈধভাবে দ্বীপে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা করেন।

তারা অবৈধ বাংলাদেশিদের রিটার্ন ত্বরান্বিত করতে এবং আমলাতান্ত্রিক পদ্ধতি ও অসুবিধা দূর করতে সম্মত হয়েছে।

আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য পৌরনারা অভ্যর্থনা কেন্দ্র সাইপ্রাসের বৃহত্তম শরণার্থী শিবির। শিবিরটিতে প্রায় এক হাজার লোকের জন্য নির্মিত হলেও ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে। শরণাথী শিবিরটিতে প্রায় ২০০ জন বাংলাদেশী সহ সেখানে দ্বিগুণেরও বেশি আশ্রয়প্রার্থী রয়েছেন।

সাইপ্রাস সরকারের মতে, প্রায় ৯০% অভিবাসী তুরস্ক এবং বিচ্ছিন্ন তুর্কি সাইপ্রিয়ট উত্তর দিয়ে শিথিলভাবে নিয়ন্ত্রিত ছাত্র ভিসা ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রবেশ করে।

বদলে গেছে রূপকথার সেই সাইপ্রাস

হাজার হাজার মানুষ তখন জাতিসংঘের বাফার জোন অতিক্রম করে প্রজাতন্ত্রে আশ্রয় চায়। সাইপ্রাসে আশ্রয় চাওয়া বিশ্বের শীর্ষ ১০টি দেশের তালিকায় উপরের স্থানেই রয়েছেন বাংলাদেশিরা নাগরিকরা।

গত বছর ৬০০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছিলেন এবং এ বছর এখন পর্যন্ত ৮০০ টির বেশি আবেদন জমা পড়েছে।

প্রায় সবগুলো আবেদনই প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। কারণ বাংলাদেশকে একটি নিরাপদ দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যার মানে সেখানকার লোকেরা আন্তর্জাতিক সুরক্ষার জন্য যোগ্য নয়।

সাইপ্রাস বলেছে যে এটি ব্লকের অনিয়মিত অভিবাসন প্রবাহের প্রথম সারিতে রয়েছে যেখানে জনসংখ্যা প্রতি সর্বাধিক সংখ্যক আশ্রয় আবেদনকারী রয়েছে।

সাইপ্রাস সরকার দাবি করেছে যে, প্রজাতন্ত্রের দ্বীপের ৯ লাখ ১৫ হাজার জনসংখ্যার মধ্যে ৫% আশ্রয়প্রার্থী। এই বছর, ৪ হাজার ১৯ জন অভিবাসী যাদের আশ্রয়ের আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল তাদের হয় নির্বাসিত করা হয়েছে বা স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।

জুলাই পর্যন্ত, পুরো ২০২১ সালে ১৩ হাজার ৩২৫ থেকে ১৩ হাজার ৮১৮ জন আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছেন। প্রতি মাসে দেড় হাজারেরও বেশি আশ্রয়ের আবেদন গৃহীত হয়।

SHARE THIS ARTICLE