আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর কুন্দুজে একটি মসজিদে জুমার নামাজে ভয়াবহ বিস্ফোরণ অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক। তালেবান সরকারের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
তালেবান সরকারের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, গোজার-ই-সৈয়দ আবাদ মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে অনেক মুসল্লি হতাহত হয়েছেন। নিরাপত্তা বাহিনী এবং প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে বলেও টুইটে উল্লেখ করেন তিনি।
শুক্রবার (৮ অক্টোবর) জুমার নামাজের সময় বিস্ফোরণের এ ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসির।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে, হামলায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করছে তালেবান প্রশাসন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা তাদের খবরে জানিয়েছে, বিস্ফোরণে পর মসজিদে অনেক মুসল্লির রক্তাক্ত লাশ পড়ে রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দরা সংবাদমাধ্যম এএফপিকে বলেন, জুমা নামাজের সময় মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ছবিতে দেখা গেছে মসজিটি ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছে।
বিস্ফোরণের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কারী সাঈদ খোস্তি।
তিনি জানান, মসজিটিতেই অধিকাংশ শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষ নামাজ পড়তেন। এ হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ দায় স্বীকার করেনি।
আফগানিস্তানের টোলো নিউজের খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলার সময় ৩০০ জনেরও বেশি মুসল্লি জুমার নামাজে উপস্থিত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এই হামলায় শতাধিক মুসল্লি নিহত ও আহত হয়েছেন। আফগানিস্তানে জাতিসংঘের সহায়তা মিশনও বলেছে, প্রাথমিক রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে, কুন্দুজের একটি মসজিদের ভেতরে আজকের বিস্ফোরণে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত ও আহত হয়েছেন।
এএফপির খবরে বলা হয়েছে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে কুন্দুজ সেন্ট্রাল হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানান, এ পর্যন্ত ৩৫ জনের লাশ ওই হাসপাতালে এসেছে। এ ছাড়া ৫০ জন আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা দিয়েছেন তারা।
ডক্টর উইদআউট বর্ডার (এমএসএফ) পরিচালিত আরেকটি হাসপাতালের আরেকজন চিকিৎসক জানান, তাদের হাসাপাতালে ১৫ জনের লাশ নিয়ে আসা হয়েছে।