আয়ারল্যান্ডে ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ এ নূতন করে আক্রান্ত ৩৬৮০
আইরিশ বাংলাপোষ্ট ডেস্কঃ আয়ারল্যান্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ এর কারণে নূতন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৬৮০ জন। গতকাল সকাল ৮ ঘটিকা পর্যন্ত, হাসপাতালে ৫৪৩ জন কোভিড রোগী ছিলেন, যার মধ্যে ৯৭ জন আইসিইউতে রয়েছেন।
এর আগের দিনে নূতন শনাক্ত রোগীর এই সংখ্যা ছিল ২,৯৭৫ জন, হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৫৫১ জন আর আই সি ইউতে ভর্তি ছিলেন ৮৯ জন। শুধুমাত্র গত এক সপ্তাহে কোভিডের কারণে আয়ারল্যান্ডে মৃত্যুবরণ করেছেন ৭৪ জন, যার কারণে আয়ারল্যান্ডে কোভিডের কারণে সর্বমোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫,৫৬৬ জন।
কোভিডের সংক্রমণের প্রতিদিনের এই হার অনেক উচ্চ। গত এক সপ্তাহে নূতন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫,০০০ যা মহামারির শুরু থেকে আজ অবধি এক সপ্তাহে তৃতীয় সর্বোচ্চ। শুধুমাত্র এই বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম এবং দ্বিতীয় সপ্তাহে এই সংখ্যা ২৫,০০০ এর বেশী ছিল।
চিফ মেডিক্যাল অফিসার টনি হোলাহান বলেছেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণের এই সংখ্যা কমাতে সকল জনগণ যেন আগামী দুই সপ্তাহ সকল প্রকার সামাজিক মিথস্ক্রিয়া অর্ধেক কমিয়ে আনার কথা বিবেচনা করেন। তিনি বলেন, “আপনি যদি সপ্তাহে দুই রাত বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন, তাহলে একবার বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনা করুন। আপনি যদি নির্দিষ্ট কোন অনুষ্ঠানের জন্য বাড়িতে ১০ জন লোক নিমন্ত্রণ করার পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে আমরা বলবো এই সংখ্যা ৫ জনে কমিয়ে আনার কথা চিন্তা করুন।
এদিকে নেদারল্যান্ডে সংক্রমণ মারাত্নক বৃদ্ধি পাওয়ায় ডাচ মহামারী এডভাইজারি কাউন্সিল সারা নেদারল্যান্ড জুড়ে "লক ডাউন" দেবার উপদেশ দিয়েছেন। সরকার এই উপদেশ বিবেচনা করে দেখছে বলে জানা গেছে। এদিকে অস্ট্রিয়ায় সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে "যারা টিকা গ্রহণ করেন নি , তাদের জন্য লক ডাউন আদেশ দেবার কথা সরকার গুরুত্ব সহকারে ভাবছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, টিকা না নেওয়া ২০% মানুষের জন্য সারা দেশের ৮০% মানুষ দুর্ভোগ নিতে পারেনা। ইতিমধ্যে অস্ট্রিয়াতে যারা টিকা গ্রহণ করেন নি তারা রেস্টুরেন্টে, নাপিতের দোকানে, সিনেমায় এবং কয়েকটি খেলায় যেতে পারছেন না। এর মধ্যে লক ডাউনের আদেশ হলে তারা আর ঘরের বাইরে যেতে পারবেন না।
এদিকে আয়ারল্যান্ডে নোরা ভাইরাসে বেশ কিছু রোগীর আক্রান্ত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গিয়েছে। শুধুমাত্র একটি শিশু পরিচর্য্যা কেন্দ্রে ৩৩জন শিশু আক্রান্ত হয়েছে। এই নোরা ভাইরাস সাধারণত "উইন্টার ভোমিটিং বাগ" নামে পরিচিত। দ্রুত ছড়ায় এই ভাইরাস বাহিত রোগ এবং ডায়রিয়া এবং বমি হচ্ছে এই রোগের লক্ষণ। সকলকে এখন থেকেই এই রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য সচেতন হতে হবে। মূলত ছোঁয়াচে এই রোগ কারো দেখা দিলে নিজ বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নেয়া উত্তম। এই রোগ নিজে থেকেই সেরে যায় কয়েক দিনের মাথায়। প্রচুর স্যলাইন পানি পান করাই এর মহৌষধ।